“যথাসাধ্য ভাল খেলেছি। তাপমাত্রার কারণে খেলা চালানো কঠিন হয়ে উঠেছিল।” মন্তব্যটি বেনফিকার কোচ ব্রুনো লেগের। কঠিন না হলে কী হত? এমনিতেই ৬-০ গোলে ম্যাচ জিতেছে। গরম না হলে তো একরাশ লজ্জার সামনে পড়ে যেত অকল্যান্ড সিটি। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে গতম্যাচে হেরেছে ১০-০ ব্যবধানে। গরম জোর না পড়লে কি আবার দুই অঙ্কের গোলে হারতো অকল্যান্ড?
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন। মরশুমের শেষে বেনফিকাও ছেড়ে দেবেন। গোল ক্ষুধা কিন্তু তঁার অটুট। ছয় গোলের মধ্যে দুটো গোল করেন তিনি। যদিও দুটো গোলই ছিল পেনাল্টি থেকে। বিরতির আগে ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি থেকে গোল করে বেনফিকাকে এগিয়ে দেন মারিয়া। বিরতির পর আর নিউজিল্যান্ডের দলকে খঁুজে পাওয়া যায়নি। ক্রমাগত আক্রমণে কোনঠাসা হয়ে যায় অকল্যান্ড। বাকি পঁাচটা গোল হয় বিরতির পর। পাভলিডিস (৫৩ মিনিটে), রেনাতো স্যাঞ্চেজ (৬৩ মিনিটে) ও বেরেইরো (৭৬ ও ৭৮ মিনিট) গোলগুলি করেন। ডি মারিয়া ফের পেনাল্টি থেকে গোল করেন ইনজুরি টাইমের আট মিনিটে।
ডি মারিয়াকে ঘিরে বায়ার্ন ফুটবলারদের উল্লাস।
বিরতিতে দুটো দল যখন ড্রেসিংরুমে চলে গিয়েছে তখন প্রচন্ড ঝড় ওঠে। খেলা বন্ধ ছিল প্রায় দু-ঘন্টা। তারপর ফের শুরু হয় খেলা। বাইরের ঝড় থামার পর দেখা যায় মাঠে ঝড় তুলে দিয়েছে বেনফিকা। জিতলেও তাদের পয়েন্ট দঁাড়াল ৪। বায়ার্ন দু ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। পরবর্তী খেলায় বেনফিকা নামবে বায়ার্নের বিরুদ্ধে। যদি বায়ার্ন এক পয়েন্টও পেয়ে যায় তাহলে তারা পরবর্তী রাউন্ডে চলে যাবে। দু-ম্যাচে ১৬ গোল খেয়ে বিদায় নিল অকল্যান্ড। তাই খেলার শেষে বেনফিকার কোচ ব্রুনো লাগ বলেন, “কোচিং কেরিয়ারে সবচেয়ে দীর্ঘতম ম্যাচ খেলার সাক্ষী থাকলাম। টানা ৫ ঘন্টা সমর্থকরা যেভাবে আমাদের সমর্থন জানাতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন তা কখনও ভুলব না।”
দারুন লড়েও হার মানতে বাধ্য হল আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়র্স। বায়ার্ন মিউনিখ ২-১ গোলে জিতে যায়। ক্লাব বিশ্বকাপে এতদিন অপরাজিত ছিল দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাবগুলো। এই ম্যাচের পর আর তা বলা যাবে না। ১৮ মিনিটে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেইন। কিন্তু ৬৬ মিনিটের মাথায় বোকা জুনিয়র্সের মিগুয়েল মেরেন্টিয়েল দলকে সমতায় ফেরান। পরে ওলিস গোল করে বায়ার্নকে জিতিয়ে দেন। জিতে শেষ ১৬-র দলে ঢুকে পড়ল বায়ার্ন মিউনিখ।