সামনের দুটো আন্তর্জাতিক ম্যাচে কিছু করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন শুভাশিস বোস। চলতি মরশুম ভালোই কেটেছে মোহনবাগান অধিনায়কের। একদিকে যেমন মোহনবাগানকে তিনি দেশের চ্যাম্পিয়ন দলের তালিকায় শীর্ষে রেখেছেন। অন্যদিকে এআইএফএফ-এর বর্ষসেরার সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। তাই কলকাতায় জাতীয় ক্যাম্পে প্র্যাকটিশের শেষে শুভাশিস জানিয়ে দিলেন, ক্লাবের পর এবার দেশের জন্য নিজেকে উত্্স্বর্গ করতে তিনি মরিয়া।
সোমবার থেকে জাতীয় ক্যাম্প শুরু হয়েছে কলকাতায়। সামনে দুটো সফর আছে। প্রথম সফরে প্রীতি ম্যাচ রয়েছে থাইল্যান্ডের সঙ্গে। পরে এশিয়া কাপের যোগ্যতামানের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে ভারত যাবে হংকং। তাই দুটো ম্যাচকে পাখির চোখ করেছেন শুভাশিস। “কঠোর পরিশ্রম করার জন্য এবার মুখিয়ে রয়েছি। বছরটা আমার ভালোই কেটেছে। এবার চাই ক্লাবের পর দেশের হয়ে নিজেকে সঁপে দিতে। সামনে দুটো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। সেই দুটো ম্যাচে নিজের সেরাটা দিতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করব না। যেভাবেই হোক ম্যাচ দুটো জিততে হবে।” বলেন শুভাশিস। থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৪ জুন ও হংকংয়ের সঙ্গে ভারতের খেলা রয়েছে ১০ জুন। কলকাতায় দীর্ঘদিন পর জাতীয় ক্যাম্প হচ্ছে। যারজন্য সন্তোষ প্রকাশ করলেন শুভাশিস। পরিকাঠামো থেকে মাঠের ব্যবস্থা দেখে বেশ খুশি মনে হলো মোহনবাগান ডিফেন্ডারকে। জাতীয় দলের জার্সি ইতিমধ্যে তঁার গায়ে উঠেছে ৪২বার। টানা তৃতীয়বার এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছেন। টানা সাত বছর ভারতের হয়ে খেলার দরুন মাঝে মাঝে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন শুভাশিস। “দেশের হয়ে খেলতে পেরে মাঝে মাঝে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। সব ম্যাচ কখনও একরকম হয়না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণের নিরিখে নিঃসন্দেহে সব ম্যাচ একইরকম থাকে। প্রতিটি ম্যাচ কেউ কখনও ভালো খেলতে পারে না। আমিও সব ম্যাচে ভাল খেলতে পারিনি। মনে রাখতে হবে, আমরা যেন সকলে একসাথে ঝঁাপাতে পারি। একত্র হয়ে প্রতিপক্ষকে যুঝতে পারি। তাহলে আমরা শুধু অপরাজিত থাকবো তাই নয়, গোল করে জেতার জায়গায় থাকব।”
এবারের আইএসএলে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিলেন। ৬টা গোল করেছেন। একজন লেফট ব্যাকের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ব্যাপার। তবে দেশের হয়ে কোনওদিন গোল করতে পারেননি। তাই এবার সেই কাঙ্খিত সাধকে পূরণ করতে চান শুভাশিস। তবে সেসব এখন আর বড় করে না দেখে শুভাশিস চাইছেন যেভাবে হোক দুটো ম্যাচ জিতে দেশে ফিরতে। “দলে অনেকে আছে যারা গোল করার ক্ষমতা রাখে। সুনীল (ছেত্রী) ভাইও আবার ফিরে এসেছে। আমার ধারণা পরবর্তী দুটো ম্যাচে দল আমাদের গোল পাবেই। তারপর যদি আমরা রক্ষণকে সুসংহত রাখতে পারি তাহলে ক্লিনশিট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারব।”জানিয়ে দিলেন শুভাশিস। গত কয়েকটা ম্যাচে দল যে বেশ কিছু ভুল করেছিল তা স্বীকার করে নিচ্ছেন শুভাশিস। তাই তঁার ধারণা, এবারের ক্যাম্পে সেইসব ভুল নিজে হাতে কলমে শুধরে দিচ্ছেন কোচ মানোলো মার্কেজ। তাছাড়া অন্যান্যবার জাতীয় ক্যাম্প হত একটা সংক্ষিপ্ত সময় ধরে। এবার সেখানে বহুদিন পাচ্ছেন ফুটবলাররা। এই বিষয়টাকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন শুভাশিস। এক সপ্তাহের বেশি কলকাতায় ক্যাম্প হবে। তারপর দল চলে যাবে থাইল্যান্ড। সেখানে প্রীতি ম্যাচ খেলে ৬দিন দল থাকবে। তারপর দল যাবে হংকংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে। তাই শুভাশিস মনে করছেন, এবারের ক্যাম্প অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে। তাছাড়া জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগে ফুটবলাররা পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছেন। ৩ মে কলিঙ্গ কাপ শেষ হওয়ার পর আর কোনও ফুটবল প্রতিযোগিতা ছিল না। তাই মোহনবাগানের ডিফেন্ডার বলছিলেন,“ক্যাম্পে ডাক পাওয়া প্রতিটি ফুটবলার সারা মরশুম জুড়ে নানান ক্লাবের হয়ে খেলেছে। সকলে চেষ্টা করে জাতীয় দলের হয়ে নিজের সেরাটা দিতে। মুশকিল হল, বিভিন্ন কোচের অধীনে ফুটবলাররা খেলেছে। প্রত্যেকটি কোচের খেলার পদ্ধতি আলাদা। কিন্তু এখানে এসে একটা পদ্ধতিতে সকলকে খেলতে হবে। মানোলো আমাদের জন্য যে পদ্ধতি ঠিক করেছেন সেই সিস্টেমে খেলতে হবে সকলকে। পেশাদার ফুটবলারদের কাছে এসব নতুন কিছু নয়। সবার উদ্দেশ্য একটাই, ভাল পারফর্ম করা। সকলের মানসিকতা যদি এক হয় তাহলে দলের পক্ষে সেটাই মঙ্গলজনক হয়ে ওঠে।”

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই