এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা মানের খেলায় ভারতের পরবর্তী ম্যাচ হংকংয়ের সঙ্গে। খেলা হবে ১০ জুন। তার আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে থাইল্যান্ড যাচ্ছে ভারত। ৪ জুন খেলা। খেলাটি হবে থাইল্যান্ডের পাথুম থানির থাম্মাসাত স্টেডিয়ামে। হংকংয়ের বিরুদ্ধে খেলার আগে এই ম্যাচটা ভারতের কাছে ড্রেস রিহার্সেলের মতো। কারণ এরপরেই হংকং-এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ন ম্যাচ খেলতে হবে কোচ মানেলো মার্কেস বাহিনিকে।
ফিফা ক্রম তালিকায় ভারত এই মুহূর্তে থাইল্যান্ডের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। থাইল্যান্ড যেখানে ফিফার তালিকায় রয়েছে ৯৯তম স্থানে। সেখানে ১২৭তম স্থানে আছে ভারত। সুতরাং হংকংকে হারাতে গেলে থাইল্যান্ড ম্যাচটা ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ন। যেহেতু এই ম্যাচে ভাল খেলতে পারলে তার ছাপ গিয়ে পড়বে ১০ মার্চ হংকং-এর বিরুদ্ধে। তাছাড়া পরিবেশ-পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে হংকংয়ের বিশেষ একটা পার্থক্য নেই। তাই সেখানে কিছুদিন থেকেই দল সোজা চলে যাবে হংকং। আগে থেকেই ঠিক ছিল, থাইল্যান্ডে গিয়ে ভারত কয়েকদিনের জন্য প্রস্তুতি শিবির করবে। তাছাড়া জাতীয় ক্যাম্পও কয়েকদিনের জন্য করবে ভারত। তাই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে চলেছে ফুটবল ফেডারেশন।
তবে হংকং ম্যাচের আগে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে রাজি নয় ভারত। তাই ঠিক হয়েছে, থাইল্যান্ডে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে ব্লু টাইগার্সরা কলকাতায় প্র্যাকটিশ করবে। তারজন্য জাতীয় ক্যাম্পে ফুটবলারদের ডেকে নেওয়া হবে ১৮ মে। ২৯ মে নাগাদ দল চলে যাবে থাইল্যান্ড। তাহলে ক্যাম্প করার জন্য বেশ কিছুদিন সময় পেয়ে যাচ্ছেন মানেলো। যা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতামানের প্রথম ম্যাচে পাননি। ১৫ মার্চ থেকে শিলংয়ে প্র্যাকটিশে নেমে খেলতে হয়েছিল ২৬ মার্চ বাংলাদেশের সঙ্গে। ১১ দিনের প্র্যাকটিশ হলেও মাঝে একটা প্র্যাকটিশ ম্যাচ হয়েছিল মালদ্বীপের সঙ্গে। সেই সময় আবার আইএসএল চলছিল। প্রচন্ড ক্লান্ত ছিলেন ফুটবলাররা। তাই মানেলোর মনে অন্যকিছু থাকলেও তা ফলপ্রসূ করতে পারেননি। এবার তা হচ্ছে না। হংকংয়ের সঙ্গে খেলার আগে যথেষ্ট সময় পেয়ে যাবে ভারত। সুনীল ছেত্রীদের নিয়ে কম্বিনেশন গড়তে সমস্যা হবে না।
গ্রুপ সি-তে ভারতের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ, হংকং ও সিঙ্গাপুর। প্রথম লেগে ভারত খেলে ফেলেছে বাংলাদেশের সঙ্গে। সেই ম্যাচ অবশ্য গোলশূন্য ড্র রয়ে যায়। একই গ্রুপে অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সিঙ্গাপুর-হংকং। সেই খেলারও নিষ্পত্তি ঘটেনি। গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়েছিল। ফলে গ্রুপের চারটে দলের পয়েন্ট সমান। প্রত্যেকে এক পয়েন্ট নিয়ে বসে আছে। থাইল্যান্ড-ভারত মুখোমুখি হয়েছে ২৬বার। যারমধ্যে ব্লু টাইগার্সরা জিতেছে ৭বার। ১২টি ম্যাচ জিতেছে থাইল্যান্ড। ৭টা ম্যাচ অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। আশার আলো বলতে একটাই, শেষ দু-বারের সাক্ষাতে ভারত হারিয়ে ছিল থাইল্যান্ডকে। শেষ দু-বার বলতে ২০১৯ সালে। এখন কী হয় সেটাই দেখার বিষয় হয়ে রইল।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই