থাইল্যান্ড-২ (ডেভিস, পরামিত) ভারত-০
হংকং ম্যাচের আগে জোর ধাক্কা খেল ভারত। থাইল্যান্ডের কাছে প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত হেরে বসল। তাও আবার কিনা ২-০ গোলে। দুটো অর্ধে একটা করে গোল করে থাইল্যান্ড।
একদিকে জঘন্য রক্ষণ। অন্যদিকে ফরোয়ার্ডদের চরম ব্যর্থতা। দুয়ে মিলে যা হওয়ার তাই হল ভারতের ভাগ্যাকাশে। ভারতীয় ফুটবল কবে জাগবে, কবে ঘুমোবে কেউ জানেনা। ধারাবাহিকতা এতটাই খারাপ। এশিয়া কাপের যোগ্যতামান খেলার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল ভারত। তাই সকলের পাখির চোখ এখন হংকং ম্যাচ। যদি এই ম্যাচে ভারত জিতে যায় তাহলে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে। নাহলে ক্রমশ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাবেন সুনীল ছেত্রীরা। মোহনবাগানের দুটো উইংকে দেখা গিয়েছে আইএসএলে কঁাপাতে। সেই দুই উইং লিস্টন কোলাসো ও মনবীরকে যেমন ম্যাচে খঁুজে পাওয়া গেল না। আবার মাঝমাঠও ছিল তথৈবচ। বল ধরে ফরোয়ার্ড পাশ বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিটি মিডফিল্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হন।
দুটি দলের কাছেই এই ম্যাচের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। যেহেতু ভারত এরপরেই প্রধান ম্যাচ হংকংয়ের সঙ্গে খেলবে। অন্যদিকে তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে খেলবে থাইল্যান্ড। দুটো দলই নামবে এশিয়া কাপের যোগ্যতামানের খেলায়। বুধবার ভারত প্রথম গোল খেয়ে বসে ৮ মিনিটের মাথায়। ডেভিস গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে হলেও ম্যাচের রাশ কিছুটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল ভারত। তখন বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন অাশিক কুরিনিয়ন, ্লিস্টন কোলাসোরা। বিশেষ করে লিস্টন যে গোলের সুযোগ হারান তা শিক্ষানবিশরাও করবে না। থাইল্যান্ডের একমাত্র গালকিপারকে পেয়েও লিস্টন গোল করতে পারলেন না। সঙ্গে থাই গোলকিপার ….কে বাহবা দিতে হবে। তিনি লিস্টনের শট নেওয়ার সময় পেছনের দিকে পা বাড়িয়ে রুখে দেন। বিরতির পরেও ভারত গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিশেষ করে লিস্টনের মতোই গোলকিপারকে পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন ছাংতে। থাইল্যান্ড দ্বিতীয় গোলটি করে যায ৫৯ মিনিটে। করেন পরামিত আরজিভিরাই। তবে দ্বিতীয় গোলটি ছিল বিশ্বমানের। তঁার বক্সের বাইরে নেওয়া শট দ্বিতীয় পোস্ট ঘেঁষে গোলে ঢুকে যায়। গোলকিপার বিশাল কাইথের কিছু করার ছিল না। এও মানতে হবে বিশাল বেশ কয়েকবার গোল হওয়ার হাত থেকে দলকে বঁাচান।
হংকং ম্যাচে এই হার প্রভাব ফেলতে বাধ্য। ১০ তারিখে হংকংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। সেই ম্যাচ ভারতের জেতাটা জরুরী। কিন্তু প্র্যাকটিশ ম্যাচ হেরে সেখানে যাচ্ছেন সুনীল ছেত্রীরা। ফলে এই ম্যাচের প্রভাব না পড়লে সেটাই হবে আশ্চর্যের। গত দুটো ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ছিল ভারত। অথচ বুধবার সেভাবে নিজেদের তুলে ধরতেই পারলেন না ভারতীয়রা। শেষবার থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা ভারতীয় দলে সাতজন রয়েছেন। তবু তঁাদের খেলায় কোনও ছাপ পড়তে দেখা গেল না। কোচ মানোলো মার্কেজ এবার কীভাবে ভারতকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন সেটাই দেখার বিষয হয়ে রইল।