১৯ বল খেলে অপরাজত ৪০ রান। হায়দরবাাদের বিরুদ্ধে দলের জয়ের পর প্লে অফের খেলার রাস্তা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। লিগের বাকি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শেষ চারে চলে যেতে পারে। এমন ঘটনার পর শিবিরে খুশির হাওয়া। হাসছেন সূর্যকুমার যাদবও। যাঁকে সবাই স্কাই নামে ডাকে। সেই সূর্য খেলার শেষে জানিয়ে দিলেন, দলের এই জয় তিনি স্ত্রী দেবিশা শেঠিকে উৎসর্গ করছেন।
হঠাৎ করে এই ম্যাচে কেন স্ত্রীকে জয় উৎসর্গ করছেন স্কাই! তার ব্যাখ্যা নিজেই দিলেন। বললেন, দেবিশার আসার কথা ছিল না। কিন্তু টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর দলের সাফল্য দেখতে ও মুম্বই থেকে হায়দরাবাদ চলে আসে। গ্যালারিতে বসা দেবিশর সামনে ভাল কিছু একটা করে দেখাতে না পারলে নিজের কাছেই খারাপ লাগত। তাই খেলার শেষে মেজাজ ভাল থাকায় এভাবে থা বলতে পারছি। আমি নিজে রান করেছি। দলও জিতেছে। এর থেকে বড় পুরস্কার আর কি হতে পারে। আমরা টানা চারটি ম্যাচ জিতলাম। প্লে অফ খেলার আশা জিইয়ে রেখেছি। সব কিছু ভাল বলতে পারেন। তাই দেবিশা এই পুরস্কার পেয়ে খুশি হবে।
এই মরশুমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দারুন ফর্মে স্কাই। ৯ ম্যাচে তিনবার অপরাজিত থেকে করেছেন ৩৭৩ রান। সর্বোচ্চ ৬৮। গড় ৬২ পার করে গিয়েছে। মিডলঅর্ডারে খেলতে আসা কোনও ক্রিকেটারের এমন পারফরম্যান্স হলে সবাই প্রশংসায় ভরিয়ে দেবেন। দিচ্ছেনও। রান পাচ্ছেন বলে খুশি স্কাইও। বললেন, উল্টোদিকের উইকেটে রোহিত থাকলে খেলা অনেক সুবিধা হয়ে যায়। ওর ব্যাটিং দাপটে প্রতিপক্ষ বোলাররা লাইন হারিয়ে ফেলে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমি নিজেও রান করে পেরেছি। এই কারনে ওকে ধন্যবাদ। শেষ দুটি ম্যাচে আমরা রোহিতকে পুরনো ফর্মে পেলাম। আর ও যেদিন এভাবে খেলা শুরু করে, সেদিন দলের জয় সহজ হয়ে যায়।
২০১২ সাল থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলছেন স্কাই। শুরুর দিকে রান পেতেন না। এমনকি ২০১৬ সালে দেবিশাকে বিয়ে করার সময়ও নিজেকে দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হিসেবে চেনাতে পারেননি। কিন্তু তারপর ছন্দ পেয়ে যান। বিশেষ করে ২০২৩ সালে তিনি আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি (১০৩) পান। সেই মরশুমে করেন ৬০৫ রান। এবার যেভাবে তাঁর গাড়ি ছুটছে, তারপর বলা যায় যে মুম্বই নকআউটে খেললে স্কাই সেই জায়গায় আবার পৌঁছে যাবেন। তিনি মাঠে আসা মানে স্পিনারদের কপালে দুঃখ নির্ঘাত। সুইপ মেরে বোলারদের লাইন বেলাইন করে দেন। বলছিলেন, প্র্যাকটিসে আমি নিয়মিত সুইপ শট খেলি। ম্যাচে যেভাবে আমাকে দেখছেন, সেই ভাবে স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলার চেষ্টা করি। এটা তো একদিনে হয়নি। খেলতে খেলতে হয়ে গিয়েছে। আশা করব, পরের ম্যাচগুলিতেও আমি নিজেকে এভাবে ধরে রাখতে পারব।