পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসবাদী শিবিরের উপর হামলা করে ধ্বংস করে দেওয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকর। সেই সঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারতের প্রধান শক্তি হল, তার জনগণ। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত যে ঐক্যবদ্ধ তাও জানিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটের আইকন।
২২ জুন পাহেলগামে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ভারতের ২৬জন নিহত হন। সারা ভারত এই হামলাকে কেন্দ্র করে গর্জে ওঠে। পাকিস্তানের এই হামলা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না ভারতের। মঙ্গলবার রাতে তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আক্রমণ করে ভারত। যার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিন্দুর। এই হামলাকে ধরা হচ্ছে পাহেলগামে সন্ত্রাসবাদীদের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে। হামলা হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে শচীন তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ঠঁাই নেই। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, ভারতের আসল শক্তি হল তার জনগণ। “ঐক্যে নির্ভীক। সীমাহীন শক্তি। ভারতের সবচেয়ে বড় ঢাল হল তার জনগণ। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারত ঐক্যবদ্ধ। এই পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ঠঁাই হতে পারে না। আমরা এই জায়গায় সকলে এক।” এক্স হ্যান্ডেলে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেছেন শচীন। শুধু তেন্ডুলকর নন, বীরেন্দ্র শেহবাগ, সুরেশ রায়না, গৌতম গম্ভীর-সহ একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা অপারেশন সিন্দুর-এর উপর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শচীন। ২০০৮ সালে মুম্বইতে ২৬/১১ হামলার পর এমন সন্ত্রাসবাদীদের শিকার হল সাধারণ মানুষ। যেখানে ২৬জন সাধারণ নিরীহ মানুষকে অকালে চলে যেতে হল।
তবে এই আক্রমণের আগে ভারত সবদিক দিয়ে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। যেমন সিন্ধুর জল চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় পাকিস্তানি নাগরিকদের। তাছাড়া সেলিব্রিটিদের পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেল ভারতে দেখা বন্ধ করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়। অপারেশন সিন্দুর-র পর ভারতের তরফ থেকে একটা বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের শিবিরগুলিকে লক্ষ্য করেই আক্রমণ শানানো হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক ঘঁাটিগুলোতে আক্রমণ করেনি ভারত। কোনও সাধারণ মানুষের মৃতু্য যাতে না ঘটে সেই দিকেও ভারত লক্ষ্য রেখে এগিয়েছে। ভারতের কাছে সাধারণ পাকিস্তানিরা আদৌ শত্রু নয়। তবে পাকিস্তান পাল্টা আক্রমণের হুমকি দিয়ে রেখেছে। এখন দুটি দেশের জনগণের মধ্যে একটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে, দু-দেশের মধ্যে না যুদ্ধ লেগে যায়।