না, শেষমেশ আইপিএল ফাইনাল চলে গেল আহমেদাবাদে। কলকাতায় না করার জন্য একাধিক অজুহাত তুলে ধরার পর বোঝা যাচ্ছিল, বোর্ড কর্তারা চাইছেন না কল্লোলিনী শহরে আয়োজন করতে। যদিও পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী আইপিএল ফাইনাল কলকাতায় হওয়ার কথা ছিল। অথচ শেষমেশ বোর্ড কর্তারা ঘোষণা করে দিলেন, ৩ জুন আইপিএল ফাইনাল গুজরাটের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। যদিও বোর্ড কর্তারা কলকাতার বদলে আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়ার পিছনে প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে তুলে ধরেছেন, মন্দ আবহাওয়া। সেই সময় নাকি প্রচন্ড বৃষ্টি হবে কলকাতায়।
শুধু ফাইনাল নয়, ১ জুন কোয়ালিফায়ার ২ আয়োজন করা হবে আহমেদাবাদেই। আসলে কোয়ালিফায়ার ২ ম্যাচ সেখানেই করা হয় যেখানে ফাইনালের ভেনু ঠিক করা থাকে। প্রথম দুটো প্লে অফ ম্যাচ নিউ চন্ডীগড়ের মুল্লানপুরে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেছে বোর্ড। কোয়ালিফায়ার ১ হবে ২৯ মে। তারপরের দিন ৩০ মে হবে এলিমিনেটর ম্যাচ। বোর্ড কর্তারা মঙ্গলবার বসেছিলেন আইপিএল-এর প্লে অফ খেলাগুলি কোথায় হবে তা নির্ধারিত করে ফেলতে। পাহেলগামে সন্ত্রাসবাদীরা হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমানায় উত্তেজনা চরমে পৌছয়। তাই দিন সাতেকের জন্য বন্ধ থাকে আইপিএল। পরবর্তীকালে যুদ্ধ থামলে আইপিএল ম্যাচ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। ফলে ভেনুর পরিবর্তন ঘটে। আসলে বোর্ড কর্তারা এখন আবহাওয়াকে ঘঁুটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। তাই ভেনু পরিবর্তন করতে কুন্ঠাবোধ করছেন না। তবে এও ঠিক, বোর্ড চাইছে এবার যেন তেন প্রকারেণ আইপিএল শেষ করতে। যদি ৩ তারিখে ফাইনাল না হয় তাহলে বড়সড় সমস্যায় পড়ে যাবে বোর্ড। যেহেতু অন্যান্য দেশের ক্রিকেটাররা নিজ নিজ দেশের খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। তাই যেভাবে হোক ৩ তারিখের মধ্যে আইপিএল শেষ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বোর্ড।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম ইদানীং ক্রিকেটের বড় বড় খেলাগুলো করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। তাই আইপিএল ফাইনাল সেখানে না হওয়ার কোনও কারণ নেই। যাইহোক শেষমেশ চন্ডীগড় ও আহমেদাবাদকে প্লে-অফের খেলাগুলোর জন্য বেছে নিল ক্রিকেট বোর্ড।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই