বৃহস্পতিবার ধরমশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ ঘিরে অনিশ্চয়তা আগেই ছিল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা জানিয়েছিলেন, সরকারের সবুজ সঙ্কেতের দিকে তাঁরা তাকিয়ে আছেন। অনুমতি মিললে ধরমশালায় খেলা হবে। না হলে বাতিল করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর বোর্ডের তরফ থেকে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশনের কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, খেলা করা সম্ভব। তারপরই খেলা শুরুর ব্যবস্থা হয়। কিন্তু রাতে পাঞ্জাব ইনিংসের ১০.২ ওভারের মাথায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন সংগঠাকরা। মাঠের টাওয়ারের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। একটি মাত্র টাওয়ারের আলো জ্বালিয়ে দুদলের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে খেলা দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঠের বাইরে আনা হয়। খেলা হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় ক্রিকেটপ্রেমীরা হতাশ হন। বেশি রাতে স্টেডিয়ামের বাইরে এসে পাকিস্তান মুর্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন।
আগে ঠিক ছিল, খেলা শেষ হলে দুটি দল সড়ক পথে দিল্লি আসবে। তারপর যে যার মতো অন্য শহরে যাবে। কিন্তু নিরাপত্তার কারনে বোর্ড কর্তারা বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। বন্দে ভারত ট্রেনে দুটি দলের সঙ্গে ব্রডকাস্টাররাও দিল্লি রওনা দেন।
কেন হঠাৎ করে খেলা বন্ধ করা হল। ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ের কথা আগেই জানা ছিল। আগাম সতর্কতা হিসেবে বোর্ড সরকারের কাছে ম্যাচ করার অনুমতি চায়। পাঠানকোট, জম্মুতে রেড অ্যলার্ট জারি ছিল। আকাশ পথে পাকিস্তান ঝামেলা শুরু করায় অনেক শহর ব্ল্যাক আউট করা হয়। ধরমশালা, অমৃতসর, চন্ডীগর বিমানবন্দর আগেই বন্ধ করা হয়েছিল। এসবের পরও কেন সরকার খেলার অনুমতি দিয়েছিল। এ নিয়েই প্রশ্ন। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল বেশি রাতে জানিয়েছেন, শুক্রবার লখনউয়ে এলএসজি ও আরসিবির খেলা নিয়ে প্রশ্ন নেই। খেলা নির্দিষ্ট সময় হবে। তবে আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত খেলা বন্ধ করা নিয়ে কোনও খবর নেই। আমরাও চাই বিদেশিদের সঙ্গে দেশের ক্রিকেটারদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। ক্ষতি না হয় খেলা দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। এটা আমাদের কাছে প্রথম প্রায়োরিটি। তাই আলোচনা চলছে। দেখা যাক, শেষপর্যন্ত কি হয়।
তা হলে কি আইপিএল আপাতত মুলতবি রাখা হতে পারে। এই অবস্থায় মাঠে নেমে খেলা কঠিন হয়ে পড়বে। বিদেশি ক্রিকেটাররা অনেকেই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন। তাঁর বুঝতে পারছেন না এই লড়াইয়ের শেষ কবে। কখন কী হবে তার উত্তরও কারোর কাছে নেই। এমন টেনশন নিয়ে মাঠে নেমে খেলা কঠিন। এ নিয়ে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল একই কথা বলছেন। সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও বার্তা দেয়নি। তাই আইপিএল হঠাৎ করে বন্ধ করার প্রশ্ন নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না মিললে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
তবে এখনই শেষ কথা বলার পরিস্থিতি হয়নি। আইপিএল শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। ভারতে খেলা করা না গেলে বিদেশে নিয়ে গিয়ে আইপিএল শেষ করা যেতে পারে। পাকিস্তান তাদের সুপার লিগ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেলে ভারতই বা পারবে না কেন! তবে সব কিছু নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবনার উপর। খেলা চালিয়ে যেতে বলা হলে হবে, না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে আইপিএল।