দিল্লি ক্যাপিটালস: ৮ উইকেটে ১৩৩ (২০ ওভার)
একেই বুঝি কপাল বলে। নিশ্চিত হারা ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে অক্ষর প্যাটেলরা কী করে আইপিএলের প্লে অফের লড়াইয়ে নিজেদের কিছুটা হলেও ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। দিল্লি হেরে গেলে সুবিধা হত কেকেআরের। রবিবার তারা রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ছয় নম্বরে উঠে এসেছিল। হায়দরাবদের কাছে হেরে গেলে দিল্লি ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকত। কিন্তু বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে যেতে এক পয়েন্ট তারা পেয়ে গেল। ফলে কেকেআরের থেকে দুপয়েন্টে লিড থেকেই গেল। উল্টে এক পয়েন্ট পেয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তৃতীয় দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল। গত মরশুমে তারা ফাইনালে কেকেআরের কাছে হেরে রানার্স হয়েছিল। আর এবার ফাইনাল তো দূরের কথা, প্লে অফে যেতে পাারল না।
হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠের ড্রেনেজ সিস্টেম এতটা খারাপ তা আগে জানা ছিল না। বৃষ্টিতে শহর ভিজে যায়নি। তবু মাঠ বেহাল হয়ে পড়ে। এই মাঠে আর যাই হোক ক্রিকেট হতে পারে না। রাত সাড়ে দশটায় বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর আশা করা গিয়েছিল যে খেল শুরু করা যাবে। মাঠের কভারের উপর জল জমে থাকলেও তা সরিয়ে খেলা শুরু করা কঠিন হবে না। মাঠকর্মীরা প্রচন্ড খাটলেন। কিন্তু খাটনির দাম তারা পেলেন না। আম্পায়ররা জানিয়েছিলেন, মাঠ রেডি করা গেলে ১১টা ৪২ মিনিটে খেলা শুরু করা যাবে। তবে পাঁচ ওভারের বেসি খেলা হবে না। এবং তা হলে পাঁচ ওভারে হায়দরাবাদকে করতে হবে ৪২ রান। বিরাট কিছু টার্গেট নয়। কিন্তু খেলা শুরু করা গেলে তো! ১১ট ১১ মিনিটে আম্পায়াররা দুদলের অধিনায়ককে ডেকে জানিয়ে দিলেন খেলা শুরু করা সম্ভব নয়। নো রেজাল্ট বলে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। তাই হল। কামিনসদের দুর্দান্ত লড়ই বৃথা গেল। দিল্লি ফাঁক তালে এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে টিঁকে থাকল।
শুরুটা এদিন হায়দরাবাদ দারুন করেচিল। আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ৭৪ রান দেওয়া শামিকে বাইরে রেখে তারা মাঠে নামেন। শামি নেই। নতুন বল হাতে নিয়ে কামিনস প্রথম ওভার শুরু করেন। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করর সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন, তা কামিনস বুঝিয়ে দিতে দেরি করলেন না। দিল্লি কোনও ব্যাটসম্যান হায়দরাবাদ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না। বিশেষ করে কামিনসের আগুলে স্পেলের কাছে তারা হার মানলেন। পাওয়ার প্লে-তে ২৬ রানে চার উইকেট চলে গেল। প্রথম স্পেলে কামিনস তিন ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে তিন উইকেট পেলেন। উল্টোদিক থেকে জয়দেব উনাদকট পেলেন এক উইকেট। রান তোলার জন্য পিচ ব্যাটসম্যানদের কখনই সাহায্য করেনি। টুপেস উইকেট হওয়ায় স্ট্রোক নেওয়া কঠিন ছিল। ৬২ রানে সাত উইকেট চলে যাওয়ার পর স্টাবস ও আশুতোষ অষ্টম উইকেট জুটিতে ৬৬ রান যোগ না করলে দিল্লি একশো রানও বোর্ডে তুলতে পারত না। আশুতোষ ৪১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। স্টাবস ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে দিল্লি করে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান।
তারপর বৃষ্টি। এবং খেলা ভেস্তে গেল। সেকথা তো আগেই বলেছি। এভাবে খেললে এই দিল্লি কতদূর এগোতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আপতত তারা লড়াইয়ে আছে। কিন্তু তারপর…!