অবশেষে সেই সন্ধিক্ষণ মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারলেন করুণ নায়ার। শেষবার তিনি ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন ২০১৭ সালের মার্চে। শেষাবধি তঁার মাথায় ভারতীয় দলের ক্যাপ উঠেছে ঠিকই, তবে দিন গোণার হিসাব ধরলে তা গিয়ে দঁাড়ায় ২৭৬৩ দিন পর। তাই এখন দেখার শেষমেশ করুন নায়ার কীভাবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হন।
শুক্রবার শুরু হল হাইভোল্টেজ ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট। হেডিংলেতে প্রথম টেস্টে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে করুণ নায়ারকে। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গে গিয়েছিলেন করুণ। একটাও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। প্রায় আট বছর পর তিনি সেই ইংল্যান্ডে গিয়ে খেলার সুযোগ পেলেন। ইতিমধ্যে গঙ্গায় অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ৭৭টা টেস্ট দেশ খেলে ফেললেও করুণ ছিলেন আস্তাকঁুড়ে। তঁাকে ফের কুড়িয়ে নিয়ে এসে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হল। খেলতে নামার আগে বিসিসিআই কর্তৃক এক ভিডিওতে করুণ জানিয়ে দেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের বাইরে থাকলেও নিজেকে কখনও ব্রাত্য বলে মনে করেননি। বরং তঁার মনে হয়েছিল একদিন না একদিন ঠিক ফিরে আসতে পারবেন। আর সেটাই ঘটলো শুক্রবার হেডিংলেতে।
“প্রত্যেকটা দিন আমি ভাবতাম, টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। যেভাবে হোক না কেন। সেই বিশ্বাস আমাকে এই জায়গায় তুলে নিয়ে এসেছে। যদি বলেন মোটিভেশন পেতাম কীভাবে। তাহলে বলব প্রতিদিন অনুশীলনে যেতাম, কখনও হাল ছেড়ে দিইনি।” তখন করুণ নায়ারের স্বপ্ন বাস্তব বলে মনে হয়েছে, যখন তিনি ভারতীয় ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করলেন। তখন মনে মনে ভেবেছিলেন, তিনি ঠিক ফিরে এসেছেন। নায়ার স্বীকার করে নিয়েছেন, আগের তুলনায় এখন তিনি একজন পরিণত ক্রিকেটার। তাই অবস্থা বুঝে চলবার ক্ষমতা তঁার আছে। “আগের তুলনায় এখন আমার ধৈর্য্য অনেক বেড়েছে। ক্ষমা করার মতো মানসিকতা অর্জন করেছি। তাছাড়া ছোট যতই হোক, বিষয়টা উপভোগ করার চেষ্টা চালাই। কাউকে অনুসরণ করতে চাইনি। আমি নিজে যা সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়েছি।” ড্রেসিংরুমে যে একটা স্বাচ্ছন্দ্যের অনুভূতি পাচ্ছেন তাও জানাতে ভুলেননি করুণ নায়ার। কেএল রাহুল, প্রসিধের সাথে বড় হওয়ার দরুন ড্রেসিংরুমে গিয়ে এঁদের সান্নিধ্য প্রথম দিন থেকে পেয়ে গিয়েছেন। তাই নায়ারের কাজটা অনেক সহজ হয়ে দঁাড়ায়। সেই কারণে এবার কিছু করতে মরিয়া করুণ নায়ার।