১২ মিনিটের মধ্যে দুটো গোল খাওয়াকেই সেমিফাইনালে হারার জন্য প্রধান দায়ী বলে মনে করছেন বাস্তব রায়। মোহনবাগান কোচ খেলার শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন, ধীরাজের ভুল তো ছিলই। পাশাপাশি বিরতির পরে খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে দুটো গোল খেয়ে বসায় দলের মনোবলে টোল খেয়ে যায়। তাই মোহনবাগানের খেলায় পরবর্তীকালে সেভাবে দানা বঁাধেনি। “১২ মিনিটের ব্যবধানে দুটো গোল খেয়ে বসল দল। যা আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। এই দুটো গোল খাওয়াই লড়াই করার রসদ শেষ করে দেয়।” বলছিলেন মোহনবাগান কোচ। গোলকিপার ধীরাজ সিং যে বিরতির পর দুটো গোল খাওয়ার জন্য দায়ী তা নির্দ্ধিধায় জানিয়ে দিলেন বাস্তব। তাই বলে ধীরাজকে তিনি আসামীর কাঠগড়ায় দঁাড় করাতে রাজি নন। তঁার মতে, এমনটা হতেই পারে। যেহেতু অনভিজ্ঞ। “দুটো গোল আমরা বিরতির পর খেয়ে বসলাম কিছুটা ধীরাজের জন্য। ঠিকমতো বুঝতেই পারল না। কোথায় কখন গেলে বল ক্লিয়ার করা যায় সেটাই এখনও ঠিকমতো রপ্ত করতে পারেনি ধীরাজ। তবে তাকে পুরোপুরি দায়ী করছি না। এমনটা হতেই পারে। যতই হোক সে একজন অনভিজ্ঞ। অনেক খেলা তার জীবনে পড়ে আছে। এসব থেকেই শিক্ষা নেবে।” জানিয়ে দিলেন বাস্তব।
তবে দলের খেলা দেখে সকলে খুশি। বিশেষ করে দলের লড়াই সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে। বিরতির আগে চোখে চোখ রেখে লড়াই চালিয়ে ছিল মোহনবাগান। বিরতির পর সেই মনোবল ধরে রাখতে পারেনি। তবু দলের খেলা দেখে দারুন উচ্ছ্বসিত বাস্তব। তাই তিনি বলছিলেন, “দলের খেলা দেখে আমি মুগ্ধ। প্রত্যেকে দারুন খেলেছে। সিনিয়র থেকে জুনিয়র, প্রতিটি ছেলে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল। নিঃসন্দেহে গোয়া এই প্রতিযোগিতার সেরা দল। তারা পরিকল্পিতভাবে খেলে আমাদের হয়তো হারিয়ে দিয়ে গেল। তবু বলব, ছেলেরা তাদের চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি।”
দুটো গোল খাওয়ার পরও প্রায় সময় ছিল ৩৫ মিনিটের বেশি। সেই সময় মরিয়া মনোভাব নিয়ে ঝঁাপাতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু সেই মরিয়া মনোভাব দেখা গেল না দলের মধ্যে। কেন? দলের মধ্যে ক্লান্তি কি গ্রাস করে ফেলেছিল? নাকি সাড়ে চারটেয় খেলা হয়েছে বলে ওড়িশার গরম সাহাল, আশিকরা ঠিকমতো সহ্য করতে পারলেন না? সব অভিযোগকে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়ে বাস্তব জানিয়ে দিলেন, “সময় ছিল ঠিকই। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের দলটা তরুনদের নিয়ে গড়া হয়েছিল। ফলে অপ্রত্যাশিত দুটো গোল তাদের মনোবলকে ভেঙে দেয়। তারজন্য তাদেরকে দায়ী করবেন না। অনভিজ্ঞ তারা। কীভাবে ঘুরে দঁাড়াতে হয় সেটাই ঠিকমতো রপ্ত করেনি। তবে সাড়ে চারটেয় খেলা হয়েছে বলে আমাদের ছেলেরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল, এমন বলার কোনও মানে হয়না। এসব কথার কোনও ভিত্তি নেই। এমন সময় আমাদের ছেলেরা খেলে অভ্যস্থ। তাই তাদের ক্লান্ত দেখিয়ে দোষারোপ করা ঠিক হবে না।” বাস্তব অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্টের প্রশংসা করে বলে গেলেন, মোহনবাগানের মতো একটা নামী দল যেভাবে জুনিয়রদের উপর ভরসা রেখে দল পাঠিয়েছে তাতে তিনি হতবাক। “ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা দল হল মোহনবাগান। সেখানে সিনিয়রদের ছেড়ে দিয়ে জুনিয়রদের নিয়ে দলগঠন করে সুপার কাপের মতো দেশের একটা বড় টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছে, যা ভাবাই যায়না। আমরা তো ভাবতেই পারছি না। ছেলেদের যেভাবে এক্সপোজার দেওয়া হল তারাও নিশ্চয় মনে রাখবে। এতে কিন্তু লাভবান হল ভারতীয় ফুটবল।” জানিয়ে দিলেন বাস্তব।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই