শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে গোটা পাঞ্জাব এখন উত্তাল। বিশেষ করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো দলকে হারানোর প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তঁার বিধ্বংসী ব্যাটিং চমকে দিয়েছে গোটা ক্রিকেট মহলকে। অতীতে পাঞ্জাব কিংস ফাইনালে উঠলেও কোনওদিন চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এমন কী অপর ফাইনালিস্ট দল আরসিবিও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায়নি। তাই মঙ্গলবার যে দলই জিতুক না কেন, তারাই হবে প্রথম দল যারা আইপিএল ট্রফি ঘরে তুলবে। পাঞ্জাব দলের সমর্থকরা বুঝে গিয়েছেন, যদি পাঞ্জাবের ঘরে আইপিএল ট্রফি এনে দিতে পারেন তাহলে একজনই পারবেন। তিনি আর কেউ নন, দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। ফলে তঁাকে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে পঞ্চনদীর কোলে।
সম্প্রতি শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে একটা পডকাস্ট ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তঁাকে হাস্যকরভাবে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদি তিনি পাঞ্জাবের ঘরে আইপিএল ট্রফি তুলে দিতে পারেন তাহলে তঁাকে বাড়ি থেকে ১০০ একর জমি, তঁার নামে একটা হাউজিং থেকে কানাডিয়ান কনেও দেওয়া হবে। এই পডকাস্ট এখন পাঞ্জাবের ঘরে ঘরে চলছে। ‘দ্য বাউন্ডারি এজ’ নামক এক পডকাস্টে স্বয়ং উপস্থাপক পাঞ্জাবি ভাষায় শ্রেয়সকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, “যদি তুমি পাঞ্জাবের ঘরে আইপিএল ট্রফি আনতে পার তাহলে তুমি সারা জীবন সরপঞ্চ বা প্রধান হয়ে থাকবে। তোমার নামে একটা কলোনি তৈরি করে দেওয়া হবে। রাস্তার নামকরণ হবে তোমার নামেই। এমন কী রাস্তার পাশে দেওয়া হবে একশো একর জমি। শুধু তাই নয়, তোমার হাতে তুলে দেওয়া হবে একজন কানাডিয়ান মহিলা। যাকে তুমি বিয়ে করবে।” একটা পডকাস্টে উপস্থাপকের এই বিবৃতি দেখে চমকে উঠবেন না। একজন তো বলেই দিয়েছেন, তঁাকে এমএলএ করবেন। যদি তিনি পাঞ্জাবকে আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেন।
সোমবার মধ্যরাতের প্রায় এক ঘন্টা পরে ম্যাচের গতিপথ স্পষ্ট হয়ে যায়। যেখানে শ্রেয়স আইয়ার জিতিয়ে দেন পিবিকেএসকে। ১৯ তম ওভারে মুম্বই দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বল করতে নিয়ে আসেন অশ্বিনী কুমারকে। সেই ওভারে শ্রেয়স আইয়ার ধরেন ভয়ংকর মুর্তি। চারটি ছক্কা মেরে তিনি পিবিএকএসকে পৌছে দেন ২০৪ রান জয়ের লক্ষ্যে। সেই সঙ্গে পাঞ্জাবকে আইপিএল ট্রফি পাওয়ার দিকে এক ধাপ এগিয়ে যান। তবে শ্রেয়সের হিমশীতল মেজাজ অনেককে অবাক করেছে। মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী দলকে হারানোর পরও তিনি কোনও উত্্্সবে মাতেননি। হেলমেট, গ্লাভস খুলে তিনি এগিয়ে যান মুম্বই দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে। কিছুক্ষণ পরে কোচ রিকি পন্টিংকে জড়িয়ে ধরে কিছুটা আবেগ প্রকাশ করেন। ব্যস এইটুকু ছিল জয়ের উত্্সব পালন। তবে শ্রেয়স আইয়ার বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের মঞ্চ তিনি বরাবর পছন্দ করেন। যেখানে হাজার হাজার মানুষ আসবেন তঁাদের খেলা দেখতে। হবে চিত্্কার। দর্শকরা আবেগে ফেটে পড়বেন। খেলার পর তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, “আমি সবসময় একটা কথা সকলকে বলি, যতবড় খেলা হবে ততই খেলতে গিয়ে মজা পাওয়া যায়। তবে এইসব খেলায় নিজেকে শান্ত রাখা জরুরী। শান্ত না রাখলে কখনও বড় সাফল্য আসেনা।” শ্রেয়স এই কয়েকটা কথার মধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ফাইনাল ম্যাচ খেলার জন্য কীভাবে মুখিয়ে আছেন।
(বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছেন শ্রেয়স আইয়ার।)

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই