সেল্টা ভিগোকে ২৪ ঘন্টা আগে হারানোর পেছনে এক রুদ্ধশ্বাস লড়াই আর অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বার্সেলোনা। এই জয়ের ফলে চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে সাত পয়েন্টের ব্যবধান রেখে লা লিগা জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। অথচ এমন আনন্দের দিনেও ছাপিয়ে গেল দুঃখের খবর। কি সেই খবর? রবার্ট লিয়নডস্কির চোট। সেল্টা ভিগোর বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে বসেন লিয়নডস্কি। ৭৮ মিনিটে বঁা পায়ের উরুতে চোট পেয়ে বসে যান পোলিশ স্ট্রাইকার। তঁার পরিবর্তে কোচ হ্যান্সি ফ্লিক নিয়ে আসেন জাভিকে। অথচ তিনি শনিবার নেমেছিলেন লা লিগায় ১০০তম ম্যাচ খেলার সদস্য হিসেবে। লিয়নডস্কির চোট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তঁার বাম উরুর সেমিটেন্ডিনোসাস পেশীতে চোট রয়েছে। বার্সা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কবে থেকে প্র্যাকটিসে নামতে পারবেন তা এখনও
িঠক নেই। চোটের গুরুত্ব বুঝে তঁাকে নামানো হবে মাঠে। তবে তিন সপ্তাহের জন্য যে তিনি চলে গেলেন মাঠের বাইরে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অথচ এবার বার্সেলোনার সাফল্যের পেছনে বিশাল অবদান রয়েছে লিয়নডস্কির। তিনি একাই করেছেন ৪০টা গোল। আগামী সপ্তাহে রয়েছে কোপা দেল রে-র ফাইনাল। যেখানে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। সেই ম্যাচ তিনি খেলতে পারছেন না। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল রয়েছে। ৩০ এপ্রিল যেখানে বার্সা মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলানের। ফিরতি লেগের খেলা হবে ৬ মে। এই দুটো ম্যাচেও তঁার খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেই সঙ্গে লা লিগায় এখন খেলা রয়েছে বার্সার সামনে মঙ্গলবার মায়োর্কা ও ৩ মে ভ্যালাডোলিডের সঙ্গে। এই দুটো ম্যাচও তিনি খেলতে পারবেন বলে মনে হয়না। ১১ মে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে খেলা আছে। সেই ম্যাচে সম্ভবত তিনি ফিরতে পারেন। জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে নিয়েছে বার্সেলোনা। এই মুহূর্তে আরও তিনটে ট্রফি জেতার জায়গায় ছিল। তার মানে চর্তুমুকুট জয়ের সামনে দঁাড়িয়ে ছিল বার্সেলোনা। অথচ যে সময়ে লিয়নডস্কি চোট পেয়ে বসলেন তা বার্সার কাছে বড় ধাক্কা। এখন দেখার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক কীভাবে লিয়নডস্কির অভাব পূরণ করেন। মাঝে মাঝে দেখা গিয়েছে ফেরান টোরেসকে ব্যবহার করেছেন। তাছাড়া দানি ওলমোকে ফলস নাইন হিসেবে ব্যবহার করে দেখে নিয়েছেন। কিন্তু কেউই লিয়নডস্কির পরিপূরক হতে পারেননি। লা লিগায় যিনি এবার ২৫টা গোল করে ফেলেছেন। উঠে এসেছে তঁার নাম সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে। এমন কী রিয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপের চেয়ে তিনটে গোল তঁার বেশি রয়েছে। সেই লিয়নডস্কিকে হারানো মানে বড়সড় ধাক্কা খাওয়া বার্সেলোনার কাছে। স্বভাবতই হতাশ বার্সেলোনা শিবির।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের