টুটু বসু-র পদত্যাগ পত্র সোমবার কি গ্রহণ করবে কার্যনির্বাহি কমিটি? নাকি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়বেন সদ্য পদত্যাগ কারী মোহনবাগান সভাপতি? আপাতত এই প্রশ্নই এখন মোহনবাগান নির্বাচন ঘিরে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। বিকেল সাড়ে তিনটেয় ক্লাবের কার্যনির্বাহি কমিটির সভা বসছে। যার একটাই এজেন্টা, সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করা টুটু বসুর আবেদন পত্র গ্রহণ করা হবে কিনা তা চূড়ান্ত করা। ক্লাবের অন্দর মহলের খবর, কতিপয় কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য চাইছেন টুটু বসুর পদত্যাগ পত্র যাতে না গ্রহণ করা হয়। তাহলে তিনি ফঁাপড়ে পড়তে বাধ্য। ফের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাহলে তঁাকে আসতে হবে। আবার অনেকে চান, টুটু বসুর পদত্যাগ পত্র গ্রহন করে ব্যাপারটাকে পাত্তা না দেওয়া। তবে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করার সম্ভাবনা যথেষ্ঠ বেশি। বর্তমান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কার্যনির্বাহি কমিটির এক সদস্য বলছিলেন, “টুটু বসুর পদত্যাগ পত্র গৃহীত হবে কি হবে না তা কমিটির লোকজন বসে ঠিক করবে। তবে আমাদের একটা বক্তব্য অবশ্যই থাকবে, তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন মানেই ক্লাব থেকে সরে গেলেন তা কিন্তু নয়। অথচ তার আগেই যদি ক্লাবের সভাপতি হয়ে তিনি একটা পক্ষের হয়ে বক্তব্য রাখেন তাহলে বুঝতে হবে, তিনি ক্লাবের সংবিধানকে অমান্য করেছেন। তিনি অবশ্যই আমাদের প্রণম্য। তবু তঁার মতো ব্যক্তি যদি এভাবে ক্লাবের সংবিধান মেনে না চলেন তাহলে সেটাই হবে আমাদের কাছে খুব আফসোসের। এখন দেখা যাক, সভায় সদস্যরা মতামত কী দেন।”তবে মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব তথা বিরোধী শিবিরের নেতা হিসেবে চিহ্নিত সৃঞ্জয় বসু জানিয়ে দিলেন, বর্তমান ক্লাবের কমিটি ক্রমাগত বেআইনি ভাবে সবকিছু করে চলেছেন। তার অঙ্গ হল কার্যনির্বাহি কমিটির ডাকা সভা। “বর্তমান ক্লাবের কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্যরা এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না যা ক্লাবের সুনামে কাদা ছিটোয়। আমার এখন একটাই লক্ষ্য নির্বাচন যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করা। সেই নির্বাচন যত দ্রুত হয় ততই মঙ্গল। তাহলে প্রকৃত কমিটির হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন সদস্যরা।” বললেন সৃঞ্জয়।
শনিবার পদত্যাগকারী সভাপতি টুটু বসু সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছেন, তঁার দুই ছেলে সৃঞ্জয় বসু ও শৌমিক বসু একইসঙ্গে মোহনবাগান নির্বাচনে কঁাধে কঁাধ দিয়ে লড়বেন। তার মানে বর্তমান সহ-সভাপতি শৌমিক শাসকগোষ্ঠী ছেড়ে যোগ দেবেন দাদা অর্থাত্্ সৃঞ্জয়ের সঙ্গে। কিন্তু শাসক গোষ্ঠীর কর্তাব্যক্তিরা টুটু বসুর এই বক্তব্য শুনে মুখ টিপে হাসছেন। তঁারা মনে করছেন, শৌমিক তঁাদের দিকেই ছিলেন, থাকবেনও। সুতরাং পদত্যাগকারী সভাপতি মুখে যাই বলুন না কেন, বাস্তবে তার কোনও মিল নেই। মোহনবাগান শাসকগোষ্ঠীর এক প্রথম সারির কর্তা হুমকির সুরে জানিয়ে দিলেন, “টুটু বসু জানিয়েছেন শৌমিক বসু নাকি তঁার বড় ছেলের দিকেই আছে। ভাল কথা। তিনি সেই সুখে থাকুন। আমরা জোর দিয়ে বলছি, সৃঞ্জয়ের সঙ্গে তার ছোট ভাই কোনওমতে নির্বাচনে একসঙ্গে লড়বে না। শৌমিক আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি যেখানে রয়েছেন সেখানেই থাকবেন। এমন কী আমাদের হয়ে ক্লাব নির্বাচনে প্রচারে নামবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও তিনি কলকাতায় কম থাকেন। কিন্তু যখন শহরে থাকবেন তখন আমাদের হয়ে প্রচারে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।” পরমুহূর্তে তিনি বলেন, “তঁার ছোট ছেলে যদি সঙ্গে আছেন তাহলে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন তিনি হাজির করতে পারলেন না? তখনই বোঝা যেত, সঙ্গে রয়েছেন শৌমিক। যখন পারেননি তখন আমরা যা বলছি তারমধ্যে সত্যতা যে যথেষ্ঠ রয়েছে তা মানবার চেষ্টা করুন।”

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই