এফসি গোয়া-৩ (ব্রাইসন, দেজান (পেনাল্টি), বোরহা) ঃ মোহনবাগান-১ (সুহেল)
মাত্র দুটো ভুল। সেই ভুল থেকে আর ঘুরে দঁাড়াতে পারল না মোহনবাগান। দুটো ভুল করে বসলেন ধীরাজ সিং। বাগানের শেষ প্রহরী কেরলের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করে দলকে জিতিয়ে ছিলেন। বুধবার ঘটল ঠিক উল্টোটা। তঁার একের পর এক ভুল কয়েককদম পিছিয়ে দিল মোহনবাগানকে। কিছুটা অনভিজ্ঞতা আর বাকিটা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বোধহয় ধীরাজকে দুটো ভুল করতে বাধ্য করল। নাহলে এভাবে দুটো গোল খেয়ে বসত না মোহনবাগান। যার ফল স্বরূপ মোহনবাগান সুপার কাপে ৩-১ গোলে গোয়ার কাছে হেরে বিদায় নিল। বাংলার আর কোনও প্রতিনিধিত্ব রইল না সুপার কাপে। গোয়া চলে গেল ফাইনালে।
তবে বিরতির আগে মোহনবাগান কিন্তু বুঝিয়ে দিয়েছিল, তরুণ-তুর্কিরা কতটা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। খেলা শুরুর মিনিট দশেক গোয়া আধিপত্য দেখিয়ে ছিল। তারপর থেকে ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ নিতে থাকে মোহনবাগান। কেরল ব্লাস্টার্সকে হারানোর প্রতিচ্ছবি বারবার ফুটে উঠছিল বাগানের খেলায়। কিন্তু ২০ মিনিটে কর্ণার থেকে ডান দিকে বাড়ানো ক্রশে ব্রাইসন আলতো হেডে গোল করে চলে যান। বলের গতিপথ পাল্টে দিতেই ধীরাজ হয়ে যান স্রেফ দর্শক। এই গোলের ক্ষেত্রেও ধীরাজ পুরোপুরি দোষমুক্ত বলা যাবে না। ব্রাইসনের হেডে মোটেই গতি ছিল না। বল ধীরে ধীরে দ্বিতীয় পোস্ট ঘেঁষে ঢুকছিল। ধীরাজ সেই বল ধরার কোনও চেষ্টাই করলেন না। এই গোল খাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে গোল দিয়ে মোহনবাগান ম্যাচে ফিরে আসে। বাগানে ফুল ফোটান সুহেল ভাট। তবে এই গোলের জন্য আশিক কুরিনিয়নকে বাহবা দিতেই হবে। আশিক বঁা দিক থেকে উঠে এসে যে ক্রশ বাড়িয়ে ছিলেন তা থেকে আলতো পুশে গোল করে চলে যান সুহেল। বিরতির আগে ১-১ গোলে খেলা শেষ হয়।
বিরতির পর ১২ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের যাবতীয় আকর্ষণ শেষ হয়ে যায়। প্রথম গোলের পেছনে ধীরাজকে দায়ী না করে পারা যায় না। ডান দিক থেকে ডেজান ড্রাজিক বল নিয়ে ঢুকছিলেন। তখন ধীরাজ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ছররা মারলেন। না মারলেও চলতো। কারণ ডেজান শেষ টোকাটা মেরেছিলেন একটু জোরে। যদি ধরে নিই ডেজান সেই বল নিয়ন্ত্রণে পেয়ে যেতেন, তাহলেও তঁাকে বল ধরে কাট করে ডান দিক থেকে ঢুকতে হত। কারণ গোল করার কোণ অনেক ছোট করে ফেলতেন। ততক্ষণে হয়তো দেখা যেত মোহনবাগানের অন্যান্য ডিফেন্ডাররা চলে এসেছেন। সুতরাং ধীরাজের উচিত হয়নি এভাবে ছররা মেরে নিশ্চিত পেনাল্টি গোয়াকে উপহার দেওয়া। ৫১ মিনিটে ২-১ হওয়ার পর ৫৭ মিনিটে ফের গোল খেয়ে বসল মোহনবাগান। এবারও গোলের পেছনে ধীরাজকে দায়ী। কর্ণার থেকে বোরহা হেরেরার নেওয়া শট সরাসরি গোল হয়ে যায়। ধীরাজের উচিত ছিল দূর থেকে আসা শট ঠিকমতো খেয়াল রাখা। যদি রাখতেন তাহলে তৃতীয় গোলটা খেতে হত না। তারপরও সুযোগ চলে এসেছিল মোহনবাগানের কাছে। যদি সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারতেন সালাউদ্দিন। নুনো দুরন্ত পাশ বাড়িয়ে ছিলেন। ডান প্রান্তে সেই বল ধরে সালাউদ্দিন এগিয়ে গেলে গোয়ার গোলকিপার এগিয়ে আসেন। গোলকিপারকে কাটিয়ে নিয়ে যখন গোল করার জায়গায় চলে গিয়েছেন ঠিক সেই সময় ফের শেষ টাচটা একটু জোর হয়ে যায়। ফলে গোললাইনের কাছে গিয়ে যখন বল নিয়ন্ত্রণ নিলেন তখন গোয়ার ডিফেন্ডাররা সামনে এসে গিয়েছেন। তখন আর সম্ভব হয়নি গোল করার। ৬৩ মিনিটে যদি এই গোল করে যেতেন তাহলে হয়তো গোয়া চাপে পড়ে যেত। কে বলতে পারে, ফের মোহনবাগান গোল করে ম্যাচে ফিরে আসতো না। তবে একটা কথা মানতেই হবে, গোয়ার মতো শক্তিশালী দলকে যেভাবে মোহনবাগান দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে বিরতির আগে রুখে দিয়েছিল তাতে সবুজ-মেরুন শিবিরে আশা জাগাটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বিরতির পর সবকিছু যেন ওলোট-পালোট হয়ে গেল।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই