ইংল্যান্ডঃ ১৭৪ ( ৪২.২ ওভার)
ভারতঃ ৪ উইকেটে ১৭৮ (২৪ ওভার)
একইভাবে বল গড়িয়ে চলেছে। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে যে মেজাজে বৈভব সূর্যবংশীকে দেখা গিয়েছিল, অনেকটা একই স্টাইলে খেলে ভারতীয় দলকে সহজ এনে দিলেন বিস্ময় বালক। ১৪ বছরের ক্রিকেটার। তবু সম্বোধনটা তুই বা তুমিতে আটকে রাখা যাচ্ছে না। কারন আইপিএলের পর জাতীয় দলের হয়ে যে মেজাজে খেলে চলেছেন, তারপর আলাদা একটা জায়গা হওযা উচিত। সেই কারনে বিশেষণ বদল আনা হল।
হেডিংলের মাঠে শুভমান গিলদের দাপটের পরও বোলিং ও ফিল্ডিং ব্যর্থতায় ভারতীয় দল হারল পাঁচ উইকেটে। কিন্তু ব্রাইটনের কাউন্টি ক্রিকেট মাঠে অনুধ্ব ১৯ ওয়ান ডে সিরিজে ভারতীয় দলের সামনে উড়ে গেল ইংল্যান্ড। বলা যায়, কখনও তারা পাল্টা দিতে পারলেন না। প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন অ্যান্ডু ফ্লিনটফের ছেলে রকি ফ্লিনটফ। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রকি ৯০ বল খেলে করলেন ৫৬ রান। এর মধ্যে ছিল ৩টি বাউন্ডরি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি। হাফ সেঞ্চুরি করলেও বাবার মতো তাঁকে কখনই দেখা গেল না। ওয়ান ডে ক্রিকেটে রানের থেকে প্রায় ডবল বল কেন খেলবেন রকি। এই খবর জানার পর বাবা কি পরামর্শ দেন, তা শোনার অপেক্ষা রইল। তবে রকি ফ্লিডিং করতে নেমে দেখলেন কেন আইপিএলে বৈভবকে নিয়ে মাতামাতি হয়েছে। এতদিন টিভিতে দেখেছেন। এবার প্রতিপক্ষ দলে বৈভবকে দেখলেন। কি দাপট। ইংল্যান্ডের কোনও বোলারই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলেন না। বলা যায়, বৈভবের দাপটের কাছে তারা হার মানলেন। শুধু বোলাররা নন, হেরে গেলেন অধিনায়ক আয়ুশ মাত্রেও। বৈভবের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ৩০ বল খেলে আয়ুশ করলেন ২১। ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি। আর বৈভব! তাঁকে নিয়ে এবার ব্রিটিশ মিডিয়া নতুন করে লেখার লাইন খুঁজবে। ১৯ বল খেলে ৪৮ রান। এর মধ্যে ৩টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারি। নিজের ইনিংসে ৪২ রান এল এভাবেই। বাকি রান করলেন দৌড়ে। তাই ইংল্যান্ডের ১৭৪ রানের জবাবে ভারত মাত্র ২৪ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নিল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৬ উইকেটে জিতে শুরুটা ভালই করল জুনিয়র ভারতীয় দল।
বৈভবকে নিয়ে আর একটি কথা বলার আছে। আইপিএলে তাঁকে ১২ নম্বর জার্সি গায়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এলেন বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি বিরাটের ফ্যান। শোনা গিয়েছিল. বিরাটের জার্সি ভারতের কোনও ক্রিকেটারের গায়ে দেখা যাবে না। তা হলে কি করে বৈভব ১৮ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে এলেন। এটাই অবাক করার মতো ব্যাপার হয়ে গেল। তাই নয় কি!
আরও একজনের কথা ম্যাচ রিপোর্ট লিখতে গিয়ে অবশ্যই নিয়ে আসতে হবে। তিনি হলেন রাজস্থানের কনিষ্ক চৌহান। অফ স্পিনার কনিষ্কও দাপট দেখালেন। ১০ ওভার বল করে ২০ রান খরচ করে তুলে নিলেন ৩ উইকেট। তা হলে! ইংল্যান্ড কি স্পিন ভাল খেলতে পারেন না। গৌতম গম্ভীর কি শুনলেন। তা হলে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে তিনি কি করবেন।