মাঠেই কে এল রাহুলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন বিরাট কোহলি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আরসিবির লড়াইয়ে কঠিন অবস্থার মধ্যে তখন বিরাটরা। সেই চাপ কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় বিরাট ও ক্রুণাল লড়ছেন। তাঁদের ছন্দ নষ্ট করতে দিল্লি অন্য পথ খুঁজে নিল। লখনউ সুপার জায়ান্টাসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ যা করেন, সেটাই করলেন রাহুল। অক্ষর অধিনায়ক হলেও বেশিরভাগ সময় রাহুলকে দলের ফিল্ডিং সাজানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। সেটাই তিনি করছিলেন। অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে দেখে মেজাজ হারান বিরাট। তিনি রেগে গিয়ে রাহুলের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। তবে এই ঘটনা বেশি সময় নেয়নি। বিরাটের মনে হয়েছিল আরসিবির ছন্দ নষ্ট করতে রাহুল বেশি সময় নিচ্ছেন। তাই ঝামেলা বাঁধে দুজনের মধ্যে।
সেই ভিডিও ভাইরাল হলেও দুজনের মধ্যে কি নিয়ে তর্ক হচ্ছিল তা বোঝা যায়নি। খেলার শেষে রাহুলকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিরাট মনে করেছিল ফিল্ডিং সাজানোর নামে আমরা অষথা সময় নষ্ট করছি। তাই হয়তো মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিল। ব্যাপারটা তা ছিল না। ও ভুল বুঝেছিল। তবে খেলার শেষে বিরাট আমার কাছে আসে। সেই সব ঝামেলা তখন আমাদের কারোর মাথায় ছিল না। সব মিটমাট হয়ে গিয়েছে।
খেলার আগে অনেক মনে করেছিলেন, ম্যাচ জিতলে বিরাট মাঠের মধ্যে এমন কিছু করবেন যা রাহুলকে পাল্টা দেওয়া যাবে। বেঙ্গালুরুতে লিগের প্রথম পর্বে ম্যাচ জেতার পর রাহুল নানারকম অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। মাঠে ব্যাট ঠুকেছিলন। দিস ইজ মাই গ্রাউন্ড, এমন কথাও বলেছিলেন। বিরাট সেদিনের ঘটনার পাল্টা দেবেন না। তিনি কি এত তাড়তাড়ি সব ভুলে যাবেন। কিন্তু বাস্তবে তা আর হল না। দিজ ইজ মাই গ্রাউন্ড, বলে বিরাটকে চিৎকার করতে দেখা গেল না। বরং তিনি অনেক শান্ত ছিলেন। লিগ টেবিলে একনম্বরে উঠে আসায় অনেক খুশি আরসিবি ক্রিকেটাররা। এবার তাদের লক্ষ্য আগে প্লে অফ খেলা নিশ্চিত করা। তারপর বাকি কাজ। তাই হয়তো বিরাট নিজেকে ধরে নিয়েছেন।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই