১০ ম্যাচে ৪৪৩ রান। যার মধ্যে ছটি হাফ সেঞ্চুরি। এমন রেকর্ড করে এই মুহূর্তে আইপিএলে সবার আগে বিরাট কোহলি। পেলেন অরেঞ্জ ক্যাপ। গ্রুপ লিগে আরসিবির এখনও চার ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে একটি ম্যাচ জিতলেই প্লে অফ খেলা নিশ্চিত।
এসব কথার কথা। রবিবার রাতে অরুন জেটলি স্টেডিয়াামে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাবার পর নিজের সাফল্য নিয়ে বিরাট অনেক কথাই শোনালেন। সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে সবাই চেজ মাস্টার বলেন। ক্রিকেট পরিসংখ্যান ঘাঁটলে জানা যায় কেন তাঁকে এই নাম দেওয়া হয়েছে। কী করে এটা সম্ভব!
রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে তাঁর সামনে কী টার্গেট থাকে। কীভাবে এগিয়ে চলেন। প্রসঙ্গ উঠতে বিরাট নিজের ভাবনাকে সামনে টেনে আনলেন। সে কথা বিরাটের মুখ থেকে শুনে নেওয়া যাক।
….. রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে কয়েকটি জিনিস দেখে নিতে হয়। সেগুলি এমন..!
(১) প্রথমে বোর্ডের দিকে তাকিয়ে খেলতে হয়। কত রান দরকার। কত বল বাকি আছে। কীভাবে খেললে ম্যাচের কাছে যাওয়া যাবে।
(২) পিচের চরিত্র বুঝতে হয়। বল কীভাবে আসছে! নিচু হচ্ছে নাকি বাড়তি বাউন্স আছে। স্পিন হচ্ছে নাকি বল স্কিড করে বেরিয়ে যাচ্ছে।
(৩) কোন বোলারের কথত ওভার বাকি আছে। কখন ওদের নিয়ে আসা হতে পারে। বাউন্ডারি বল না পেলে স্ট্রাইক রোটেড করতে হবে। অনেকে মনে করেন বড় রান তাড়া করতে হলে বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি মারতে হয়। আসলে তা নয়। সিঙ্গলস বা দুরান নিয়েও টার্গেটের কাছে যাওয়া যায়। এর মাঝে লুজ বল পাওয়া যাবে। সেই বলকে আক্রমন করতে হবে। নিজের উইকেট বাঁচিয়ে এভাবে খেললে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসা যায়। আমি অন্তত তাই করি। দেখেছি টার্গেটের কাছে গিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে এসেছি। এটাই আমার খেলার রেসিপি। এর বাইরে কিছু নেই। পুরোটাই অঙ্ক। একে মাথায় নিয়ে চলতে হয়। কখনও আউট হয়েছি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছি।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি বিরাট। ৪৭ বলে ৫৪ রান করে ফিরে আসেন। এই রানে ছিল চারঠি বাউন্ডারি। এতেই বোঝা যায়, বিরট বাউন্ডরির থেকে সিঙ্গলসের উপর কতটা ভরসা করেছিলেন। তিনি আউট হয়ে ফিরে এলেও দলের চাপ কাটিয়ে দিয়েছিলেন। তখন ম্যাচ জিততে আরসিবির দরকার ছিল ১৩ বলে ১৮ রান। বিরাট বলছিলেন, ২৬ রানে তিন উইকেট চলে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা হলেও চাপে পড়ি। ক্রুণাল উইকেটে আসার পর ওকে বলি, তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। অনেক ওভার বাকি আছে। আগে নিজেকে বুঝে নাও। এখন আমাদের কাজ একটা বড় পার্টনারশিপের। সেটা করতে পারলে ম্যাচ সহজ হয়ে যাবে। এরপর ডেভিড আছে। জিতেশ আছ। মারার জন্য ওদের উপর ভরসা রাখা যাবে। আমরা নিজেদের খেলা খেলি। অহেতুক ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই।
বিরাটের কথা শুনে ক্রুণাল সেইভাবে ব্যাটিং করেন। প্রথম ২০ বল তিনি স্ট্রোকের পিছনে যাননি। জানতেন বিরাট আছেন। ও থাকলে ম্যাচ ঠিক চলে আসবে। সেইভাবে খেলে চতুর্থ উইকেটে ৮৪ বলে এল ১১৯ রান। এরপর বিরাট আউট হলেও আরসিবির ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি। ডেভিড এসে শেষ কাজটা করে দেন। ম্যাচের সেরা ক্রুণাল। ব্যটিং ও বোলিংয়ে নজর কেড়ে তিনি সেরার পুরস্কার পান। একই সঙ্গে বাইরের মাঠে ছটি ম্যাচ জিতে প্লে অফের দরজায় কড়া নাড়া শুরু দেন।
বিরাট আরও বলেছেন। তাঁর কথায় এই সাফল্যকে টিম গেমের জয় বলতে পারেন। বোলিংয়ে জস আবার আগের মতো ছন্দে বল করছে। স্পিনাররা জায়গা ধরে বল করেছে। বিশে, করে মিডলওভারে ওরা লাইন ধরে বল করে দিল্লিকে চাপে ফেলেছে। ক্রুণাল উইকেট পেলেও সুষশের পকেট শূন্য। কিন্তু ওর বোলিং দেখলে বোঝা যাবে বেসি রান দেয়নি। দিল্লির মতো একটা গলকে ১৬২ রানে আটকে রাখা সহজ ব্যাপার নয়। আমরা সেটা বোলারদের জন্য করতে পেরেছি। এটাও ঘটনা যে এই পিচে রান তোলা কঠিন হলেও টার্গেট কম বলে ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই