ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম খেলতে নামার ৪৮ ঘন্টা আগে তিনি মুখ খুললেন। জানিয়ে দিলেন, সিরিজে বিরাট কোহলির না থাকা ভারতীয় ক্রিকেটে বড় ক্ষতি। টেস্ট ক্রিকেট থেকে রোহিত শর্মাও অবসর নিয়েছেন। তাঁর অবসরের পাঁচদিন পর বিরাট কোহলিও টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটারের অবসর ভারতীয় দলকে বড় ধাক্কা দিয়ে যায়। ইংল্যান্ড সিরিজের আগে দুজনের এভাবে সরে যাওয়ার পর দল গুছিয়ে নিতে নির্বাচকদের ঝামেলার সামনে পড়তে হয়। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে একটা নতুন দল গড়ে ভারতীয় দল লম্বা সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড গিয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে দ্য লন্ডন টেলিগ্রাফে নিজের কলমে প্রাক্তন ক্রিকেটার জিওফ বয়কট লিখেছেন, রোহিতের অবসর নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। ইদানীং টেস্ট ক্রিকেটে ভারত অধিনায়ক তেমন রান করতে পারছিল না। রান না পাওয়ায় দলের সঙ্গে নিজেও চাপে পড়ে যাচ্ছিল। তার উপর রোহিত কখনও ভাল অ্যাথলিট ছিল না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক রান করলেও হালে রোহিতের ব্যাটে সেই ঝলক দেখা যাচ্ছিল না। আর সত্যি কথা বলতে কি বিরাটের সঙ্গে ওর কোনও তুলনা চলে না। বিরাট একজন ভাল অ্যাথলিট। টেস্ট ক্রিকেটের অ্যাম্বাসাডার। ওকে দেখলেই বোঝা যেত রানের পিছনে কীভাবে ছুটতে হয়। সেই কারনে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে নিজেকে আলাদা করে চেনাতে পেরেছিল বিরাট। টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাটের অবসর তাই ভারতীয় ক্রিকেটকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। এই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ নয়। ভারতের নতুন দলকে দেখে ৮৪ বছরের বয়কট আগেভাগে সিরিজের রেজাল্ট বলে দিতে পারছেন। তিনি লিখেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে এই সিরিজ অবশ্যই জেতা উচিত ইংল্যান্ডের। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে খেলে নিজেদের ওয়ার্ম আপ সেরে নিতে পেরেছে ক্রিকেটাররা। এখন আসল লড়াই। আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলে এই সিরিজে শুরু থেকে তাদের ভারতীয় দলের উপর চেপে বসতে হবে। আর একটা কথা ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্টকে মনে রাখতে হবে, আইসিসির টেস্ট ক্রিকেটের সার্কেল এই সিরিজ থেকে শুরু হচ্ছে। ভারতের বিরুদ্ধে ভাল রেজাল্ট করতে পারলে পয়েন্টের তালিকায় ভাল জায়গায় নিজেদের বসাতে পারবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আমাদের দেশে তিনবার হয়ে গেল। আমরা কিন্তু একবারও ফাইনালে খেলতে পারলাম না। এবার সেদিকে তাকিয়ে ক্রিকেটাররা ছোটার চেষ্টা করুক। প্রত্যেক দলের সামনে একটা টার্গেট থাকে। এটাই এখন ইংল্যান্ডের টার্গেট হওয়া উচিত। ভারতের মতো একটা অনভিজ্ঞ টেস্ট দলের বিরুদ্ধে ভাল রেজাল্ট করে না পারলে কিছু বলার থাকবে না। তাই এর অভিযান লিডস থেকে বরং শুরু হোক।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই