জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু কদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সুনীল গাভাসকরের পর টেকনিকের দিক থেকে বিচার করলে সাই সুদর্শনকে রাখতে হবে। এত ভাল টেকনিক অন্য কোনও ক্রিকেটারের মধ্যে দেখিনি। সামনে বা পিছনের পায়ে খেলার সময় কোন ভুল ধরা পড়ে না। আমার মনে হয় যে কোনও উইকেটে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ওর মধ্যে আছে। এমনকি ইংল্যান্ডের মাঠে খেললেও ভুলচুক হবে না।
সিধুর মতো একই কথা শোনালেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যালেক স্টুয়ার্টের। জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন। সারে কাউন্টির হয়ে টানা খেলার কারনে অবসরের পর সেখানেই ক্রিকেট কর্তা হিসেবে স্টুয়ার্টকে দেখা গিয়েছে। এখনও তিনি আছেন। সারের ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন স্টুয়ার্ট। তিনি বলছিলেন, গত মরশুমে সারের হয়ে খেলে গেল সাই। খুব কাছ থেকে দেখেছি বলে বলতে পারছি যে ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় ওর পক্ষে ভাল খেলা সম্ভব। টেকনিক ভাল। সামনে বা পিছনে স্ট্রোক নেওয়ার ক্ষমতা আছে। ভাল পুল মারতে পারে। প্রথম বছর খেলতে এসে সকলের নজরে পড়ে যায় সাই। ৮ ইনিংসে করে ২৮১ রান। একটি সেঞ্চুরি সহ ব্যাটিং গড় ৩৫-এর উপর। তাই ভারতীয় ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফরে সাই রান পাবে। সেটাই ও করে দেখাবে।
এ তো কাউন্টি নিয়ে স্টুয়ার্টের বক্তব্য। তবে তাঁর যে কথায় সবাই চমকে উঠেছেন তা হল, সারে থেকে দেশে ফিরে আসার সময় নিজের ব্যাগে বেশ কয়েকটি ডিউক বল ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন সাই। স্টুয়ার্ট বলছেন, সেটা আমাদের জানিয়েই করেছিল। বলেছিল, দেশে ফিরে প্র্যাকটিস করবে। ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফর শুরু হতে তখনও অনেক দেরি। তবে নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। ভেবেছিল, ইংল্যান্ড সফরে দলে নিজের জায়গা করে নিতে পারবে। তাই ব্যাগে ডিউক বল নিয়ে দেশে ফেরে।
স্টুয়ার্টের কথায় সাইয়ের মানসিকতা বোঝা যায়। সারের হয়ে খেলার সময় বুঝে গিয়েছিলেন ডিউক বল সমস্যায় ফেলতে পারে। এই বল-এ প্র্যাকটিস করতে না পারলে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে সুবিধা করা যাবে না। তাই দেশে ফিরে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন ডিউক বল-এ প্র্যাকটিসে। তারপর জাতীয় দলে সুযোগ। এবং এটাও জেনে গিয়েছেন লিডসে প্রথম টেস্টে তাঁর অভিষেক হচ্ছে। এবারের লড়াইয়ে অন্যদের থেকে তিনি কিছুটা হলেও এগিয়ে থকবেন। কারন, পরিবেশ ও পরিস্থিতি জানা। বল কতটা সুইং করবে। সেটাও আগেভাগে বুঝে নিতে পারবেন। সব থেকে বড় ব্যাপার নিজে আলাদা করে ডিউক বল-এ প্র্যাকটিস করে ইংল্যান্ড খেলতে গিয়েছেন। এমন সুযোগ কজন পায়। মঙ্গলবার ভারতীয় দলের ট্রেনিংয়ের পর অর্শদীপ বলছিলেন, আমরা সাদা বল-এ ক্রিকেট খেলে এলাম। এখানে এসে ডিউক বলে আমাদের প্র্যাকটিস করতে হচ্ছে। এটা যত তাড়াতাড়ি আমরা মানিয়ে নিতে পারব, তত আমাদের ভাল। গত মরশুমে কেন্টের হয়ে কাউন্টিতে খেলতে দেখা গিয়েছিল অর্শদীপকে। তিনিও জানেন ডিউক বল কতটা সুবিধা দিতে পারে। আবার কতটা ঝামেলায় ফেলতে পারে। তাই অর্শদীপের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবু তিনি ডিউক বল-এ মানিয়ে নেওযার কথা বলছেন। এখানেই কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবেন সাই সুর্দশন। সেটা আগেভাগে জানিয়ে দিলেন অ্যালেক স্টুয়ার্টও।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই