মেসির থাকা আর না থাকার মধ্যে যে কতটা পার্থক্য তা স্পষ্ট হয়ে গেল। মেজর সকার লিগ বা এমএলএস-এ মেসি বিহীন ইন্টার মায়ামি হেরেই বসল। প্রতিপক্ষ ছিল এফসি ডালাস। সেই ডালাসের কাছে মায়ামি পরাজিত হল ৪-৩ গোলে। অথচ একটা সময় মায়ামি এগিয়ে ছিল ২-১ ব্যবধানে। খেলা চলাকালীন দেখা যায় মেসি একটা ব্যক্তিগত বক্সে বসে ম্যাচ দেখছেন।
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ সেমিফাইনালের প্রথম রাউন্ডের খেলায় হেরে গিয়েছিল ইন্টার মায়ামি। যদিও সেই ম্যাচে ভ্যাঙ্কুভার দল মেসিকে সামলেছিল। পুরো সময় সেদিন খেলেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। বুধবার ফের মিয়ামিতে মুখোমুখি হবে মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার। মনে করা হচ্ছে, সেই ম্যাচে মেসির মাঠে নামা অসম্ভব। রবিবার তঁাকে দেখে যা মনে হয়েছে।
৮১ মিনিটে পেড্রিনহো গোল করে ডালাসের জয় নিশ্চিত করেন। নিজেদের মাঠে খেলা সত্ত্বেও প্রথম গোল খেয়ে বসে মায়ামি। ডালাসের হয়ে গোল করে যান শাকুয়েল মোরে। তখন খেলা সবে মিনিট আটকে হয়েছে। তবে সেই গোল ৮ মিনিট পরেই শোধ করে দেয় মায়ামি। গোলটি করেন ফাফা পিকাল্ট। ফের মায়ামি গোল করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২৯ মিনিটে। এবার গোলটি করেন অ্যালেন ওবান্ডো। বিরতির সময় ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় খেলা শেষ করে মায়ামি। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই দেখা যায় ডালাসের দাপট। যদিও ডেভিড মার্টিনেজ গোল করে মায়ামিকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তখন খেলা গড়িয়েছে ৫৬ মিনিট। তারপরেই তেড়েফুড়ে খেলতে থাকা মরিয়া ডালাস। হারানোর কিছু নেই ভেবে পুরো দল চলে আসে আক্রমণে। সেই চাপ আর ধরে রাখতে পারেনি মায়ামি। মাত্র পঁাচ মিনিটের ব্যবধানে দুটো গোল করে ডালাস সমতায় ফিরে আসে। দুটি গোল করেন যথাক্রমে ওসাজে উরহোহাইড ও অ্যান্ডারসন জুলিও। ৬৪ ও ৬৯ মিনিটে এই দুটো গোল ডালাসকে পুরোপুরি উজ্জীবিত করে তোলে। তখনও মনে হচ্ছিল না মায়ামি হেরে যেতে পারে। জয়ের সরণীতে দল ঠিক ফিরে আসবে, এটাই হয়তো সকলে ভাবছিলেন। কিন্তু সব অঙ্ক ওলোট পালোট হয়ে গেল ৮১ মিনিটে। পেড্রিনহো গোল করে যখন ডালাসকে এগিয়ে দেন ৪-৩ ব্যবধানে। আসলে মেসি তো খেলেননি, সঙ্গে খেলতে দেখা যায়নি সুয়ারেজ ও জর্ডি আলবাকে। তাহলে গোলটা করবেন কে। ফলে মায়ামি চাপে রেখেও শেষ হাসি হাসতে ব্যর্থ হয়েছে।