অসম্ভব…! আর জে মেহবাশের ইনস্ট্র্যাগ্রামে যুজবেন্দ্র চাহালকে নিয়ে পোস্ট। লিখেছেন, দারুন ট্যালেন্টেড ম্যান। আইপিএলে সব থেকে বেশি উইকেট পাওয়া বোলার। অসম্ভব…।
ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর আর জে মেহবাশের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। চারিদিকে এমনই গুঞ্জন। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে তাঁদের একসঙ্গে গ্যালারিতে দেখতে পাওয়া যায়। তারপরই শুরু নতুন গল্প। তা হলে কি এই কারনে ধনশ্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে চাহালের।
সে সব কথা থাক। মেহবাশের চোখে অসম্ভব মানুষটি সত্যি দারুন কিছু করে দেখালেন। মঙ্গলবার মুল্লানপুরে কেকেআরের বিরুদ্ধে একাই কামাল করলেন। তাঁর দাপটে কেকেআর সহজ পরিস্থিতিকে জটিল করে ১৬ রানে ম্যাচ হারল। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট পাওয়া চাহাল প্রমান করলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। না হলে তিনি ম্যাচের সেরা কেন হবেন। এর থেকে প্রমান হয়, ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট।
অদ্ভুত ব্যাপার এটাই যে ম্যাচে খেলার কথা ছিল না চাহালের। কাঁধে চোটের জন্য তিনি বাইরেই চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু খেলা শুরুর আগে ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করে তিনি মাঠে নামার অনুমতি পান। ভাগ্যিস চাহাল খেলতে নেমেছিলেন। না হলে পাঞ্জাবকে কে জেতাতেন। হেড কোচ রিকি পন্টিং ও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার দুজনেই বলছিলেন, নিজেকে দারুনভাবে মেলে ধরেছে চাহাল। বলতে গেলে ম্যাচ একা ঘুরিয়ে দিয়েছে।
তো এমন পারফরম্যান্সের পর চাহাল নিজে কি বলছেন! চাহালের কথায়- আমাদের রান খুব কম ছিল। ১১১ রান নিয়ে এই ম্যাচ বের করা কঠিন। তবে আমরা চাইছিলাম, পাওয়ার প্লে-তে ২-৩টি উইকেট তুলে নিতে। জানতাম পাওয়ার প্লে-তে উইকেট পেলে ওরা চাপে পড়ে যাবে। আমরা দুটি উইকেট তুলে নিলেও কেকেআর ম্যাচ প্রায় ধরে নিয়েছিল। আমি প্রথম ওভার বল করতে এসে দেখি উইকেটে টার্ন আছে। বল স্পিন করছে দেখে শ্রেয়স এসে আমাকে বলে অ্যাটাকিং মোডে চল। আমি স্লিপ রাখছি। ওদের শুরু থেকে চাপে ফেলতে হবে। তা হলে আমরা ম্যাচ ধরতে পারব। সেটাই হল। প্রথম ওভারে আমি উইকেট পেলাম। ব্যস, সেই শুরু। কেকেআর তারপর আর পারেনি। প্রথম তিন ওভারে চার উইকেট নিয়ে কেকেআরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিই। তারপর তো জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা।
তবে চাহালের শেষ ওভারে রাসেল ১৬ রান নিতে চাপ বাড়েনি। না, তা নিয়ে আলাদা করে কোনও কথা তিনি বলেননি। আসলে আজকাল এই ফরম্যাটে ক্রিকেটাররা বলকে ফ্লাইট করাতে চান না। দুএকজন ছাড়া কাউকে সেভাবে দেখতে পাওয়া যায় না। চাহাল এদের মধ্যে ব্যতিক্রম। তিনি ফ্লাইট করান। পেসের বৈচিত্র আনেন। বলকে ডিক করান। আর এতেই তিনি সফল। সেটা আরও একবার করে তিনি দেখালেন। এমন ম্যাচে করলেন, যেখানে কেকেআরের সহজ জয়ের ম্যাচ কঠিন হয়ে হাত থেকে বেরিয়ে গেল।