“দেখুন সকলে বড় দল নিয়ে কথা বলে। সকলের দৃষ্টি থাকে বড় দলের দিকেই। কিন্তু ছোট দলের মেয়েরা যে কোনও অংশে কম নয় তা প্রমাণ করার জন্য মুখিয়ে ছিল মেয়েরা। সেটাই তারা প্রমাণ করে দিয়েছে ।” গাড়ি চালানো অবস্থায় উচ্ছ্বসিত হয়ে কথাগুলো একটানা বলে গেলেন কালিঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোচ অমৃত দাস। আবেগের জোয়ার প্রকাশ্যে আসাটাই স্বাবাভিক। ইস্টবেঙ্গলের মতো দলকে যারা ২-০ গোলে হারাতে পারে, তারা স্বভাবতই আনন্দের ঝর্ণাধারায় নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা করবে। গোল দুটো করেন যথাক্রমে প্রমীলা দাস ও মঞ্জুলা মুর্মূ।
গত দুটো ম্যাচ থেকে যাদের সংগৃহীয় পয়েন্ট মাত্র এক। গতম্যাচে যারা মৈত্রী সংসদের কাছে হেরে গিয়েছে। তারাই কিনা বুধবার হারিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। তাও আবার কিনা একটা অ্যাকাডেমির টিম। গয়েশপুর স্পোর্টস ফুটবল অ্যাকাডেমির মেয়েরা দেখিয়ে দিয়েছে অদম্য জেদ, আর মরিয়া মনোভাব দেখিয়ে কীভাবে ইস্টবেঙ্গলের মতো দলকে নাস্তানাবুদ করা যায়। কোনও সন্দেহ নেই, সেইভাবে সহজ সুযোগ বলতে কিছুই তৈরি করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। আসলে কালিঘাট স্পোর্টস লাভার্সের ডিফেন্স লাইন আজ দারুন খেলেছে। সেই সঙ্গে গোলকিপার শিখা সোরেনের বিশ্বস্ত হাত বারবার রুখে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের প্রচেষ্টাকে। এক একটা সময় মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরা উচিত ছিল কালিঘাট দলের। ভুল করে বোধহয় জার্সি বদল হয়ে গিয়েছে। কোচ অমৃত দাস উচ্ছ্বাসের সুরে বলছিলেন, “দেখুন ইস্টবেঙ্গল তেমন কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। সত্যি বলতে কী আমাদের মেয়েরা দারুন খেলেছে। আমরা চারটে সুযোগ পেয়েছিলাম। তার থেকে দু-গোল করেছি। পরপর দুটো ম্যাচ থেকে আমরা এক পয়েন্টের বেশি পাইনি। ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশের সঙ্গে জেতা ম্যাচ আমরা গোলশূন্য অবস্থায় শেষ করেছিলাম। তার উপর মৈত্রী সংসদের বিরুদ্ধে যেখানে পঁাচ গোলে জেতা উচিত ছিল, সেই ম্যাচ কিনা হেরে বসলাম। তাই মেয়েরা আজ খেলতে নামার আগে শপথ নিয়েছিল, না জিতে মাঠ ছাড়বে না। সেটাই প্রমাণ করে দিল।” তবে গোলকিপার শিখা সোরেনের দুরন্ত পারফরম্যান্সের নিদর্শন রুখে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। বিরতির বঁাশি বাজার ঠিক আগে দুরপাল্লার শট থেকে প্রথম গোলটি করে যান প্রমীলা দাস। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মূহুর্ত আগে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মুঞ্জুলা মুর্মূ। ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে
কন্যাশ্রী কাপের অন্যান্য ম্যাচের খেলায় মৈত্রী সংসদ ৮-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে সরোজিনী নাইডু ওরিয়েন্ট স্পোর্টস ক্লাবকে। রিনা বর্মণ একাই হ্যাটট্রিক সহ চারটে গোল করেন। বাকি গোলদাতারা হলেন সুপর্ণা বিশ্বাস (২), শিখা মালিক। অপর ম্যাচে জ্যোর্তিময়ী অ্যাথলেটিক ক্লাব ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে সেবায়নী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারকে।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই