মোহনবাগান-১ (সাহাল)
কেরল ব্লাস্টার্স-০
দুই প্রধানের আগেই বিদায় ঘটে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের পর মহামেডানও ফিরে এসেছে শহরে। বাংলা ফুটবলের ব্যাটন এখন মোহনবাগানের হাতে। প্রথমার্ধে খেলার শেষে বলা যেতে পারে সেই ব্যাটনকে শক্তপোক্ত ভাবেই ধরে রেখেছে সবুজ-মেরুন। তরুণদের নিয়ে গড়া দল। যারা এবার তেমন আইএসএল খেলেইনি। তারউপর ডেভলাপমেন্ট টিম থেকে ফুটবলারদের নিয়ে দল গড়েছে মোহনবাগান। অথচ সেই দল কিনা প্রথম ৪৫ মিনিটের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করে যান সাহাল আব্দুল সামাদ। ২২ মিনিটের মাথায় ডানদিক থেকে সালাউদ্দিন যে ক্রশ করেন তা সাহাল এক ডিফেন্ডারকে গতিতে হারিয়ে ডান পায়ের আলতো পুশে গোল করে চলে যান। প্রথম ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স হারিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গলকে। একা নোয়া সাদুই বলতে গেলে শেষ করে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে। দুটো গোলের মধ্যে একটা এসেছিল তাঁর মাধ্যমে। আর একটা তিনি দুরন্ত গোল করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। শনিবাসরীয় বিকেলে ভুবনেশ্বরের মাটিতে সেই নোয়া খুব একটা সুবিধে করতে পারছেন না। বেশ কয়েকবার প্রান্ত বদল করেছেন। গোলমুখী শট যে নেননি তাও নয়। কিন্তু যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই কড়া মার্কিংয়ের সামনে তাঁকে পড়তে হয়েছে। আসলে নোয়া হলেন কেরলের প্রাণভোমরা। তিনি ধরা পড়ে যেতেই খুব একটা সুবিধে করতে পারছে না কেরল। বল পজিশনে বারবার এগিয়ে থেকেছে কেরল। বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি এসেছে। কিন্তু শেষ কাজটা করে উঠতে পারছে না। কোনও সন্দেহ নেই, মোহনবাগানের ডিফেন্ডাররা ভাল খেলছেন। তারউপর গোলকিপার ধীরাজ সিং বেশ কয়েকবার নিশ্চিত পতন রুখে দেন। যাইহোক, কেরল একাধিক বিদেশি নিয়ে খেলছে। সেখানে মোহনবাগান কেবলমাত্র নুনোকে নিয়ে নেমেছে খেলতে। তবু বাগানের খেলায় একটা ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যারা অনায়াসে হার মানতে জানে না। এখন দেখার কেরল বিরতির পর কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায়।