সুপার কাপকে গুরুত্ব দিতে আর রাজি নয় মোহনবাগান। আইএসএল লিগ শিল্ডের পর কাপ জয় হয়ে গিয়েছে। সুতরাং মোহনবাগানের যা পাওয়ার কথা তা পাওয়ার কাজ শেষ। তাই সবুজ-মেরুন শিবির চাইছে না সুপার কাপকে কোনও গুরুত্ব দিতে। টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছে, মোটামুটি একটা দল নামিয়ে সুপার কাপে নিজেদের অস্তিত্ব তুলে ধরবে। বিদেশিরা শনিবার খেলার শেষে যে যার বাড়ি চলে গিয়েছেন। মূলত রবিবার সকালের দিকে সকলের ফ্লাইট ছিল। সেই ফ্লাইট ধরে বিদেশিরা শহর ছেড়েছেন। বাকি আছেন ভিনরাজ্যের ফুটবলাররা। পারিবারিক সমস্যার কারণে ভিনরাজ্যের ফুটবলাররা শহরে থেকে গিয়েছেন। যাদের কোনও সমস্যা নেই তঁারা অবশ্য রওনা দিয়েছেন। এই মুহূর্তে বলতে গেলে মোহনবাগান শিবির ভাঙা হাট। তবে কোচ জোসে মলিনা শহর ছাড়েননি। পরিবারকে নিয়ে সম্ভবত তিনি কাছেপিঠে কোথাও ঘুরতে যাবেন। কারণ টিম ম্যানেজমেন্টকে তিনি জানিয়েছেন, ১৭ তারিখ থেকে সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চান। তারজন্য একটা তালিকা তৈরি করছেন। যাতে কিছু ফুটবলারকে রেখে একটা দল মোটামুটি খাড়া করা যায়। সেই তালিকা দেখে তবেই মোহনবাগান টিম ম্যানেজেন্ট ফুটবলারদের প্র্যাকটিসে ডেকে নেবে। মোহনবাগানের পক্ষে আরও সুবিধে হয়েছে, চার্চিল ব্রাদার্স সুপার কাপে খেলবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায়। আই লিগে চার্চিল ব্রাদার্সকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে বঞ্চিত করার জন্য গোয়া ক্লাবের কর্মকর্তারা এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ছিল চার্চিলের সঙ্গে। ২০ এপ্রিল খেলা। সেই ম্যাচ জিতলে পরবর্তী রাউন্ডে মোকাবিলা করতে হত ইস্টবেঙ্গল বনাম কেরল ব্লাস্টার্সের সঙ্গে। এই ম্যাচও হবে ২০ এপ্রিল। যেহেতু চার্চিল নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে তাই মোহনবাগানকে ২০ তারিখের ম্যাচ খেলতে হচ্ছে না। এবার পরবর্তী রাউন্ডের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে মোহনবাগানকে। সবুজ-মেরুন ঠিক করেছে, যদি পরবর্তী রাউন্ডে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে হয় তাহলে দল কিছুটা গোছানোর কাজ শুরু করা হবে। কারণ ইস্টবেঙ্গলের কাছে অঘটন ঘটাকে কোনও সমর্থক মেনে নেবেন না। এমন কী ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নাকি জানিয়েছেন, সুপার কাপকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই ঠিকই আছে। কিন্তু পরবর্তী রাউন্ডে যদি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে হয় তাহলে ম্যাচটাকে হাল্কা ভাবে নিলে চলবে না। তখন অল আউট ঝঁাপাতে হবে। সেই কারণে মলিনা সবদিক খতিয়ে দেখে ্সুপার কাপের দল গঠন করতে চলেছেন।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই