কন্যাশ্রী কাপে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে চলেছে শ্রীভূমি। পরপর তিনটে ম্যাচ খেলে ফেললেন শ্রীভূমির তনয়ারা। প্রতিটি ম্যাচ জিতে নিয়েছেন কোচ সুজাতা করের মেয়েরা। সোমবার খেলা ছিল সাদার্ন সমিতির সঙ্গে। সেই খেলায় শ্রীভূমি ২-০ গোলে জিতে যায়। গোল দুটি করেন সোনালী সোরেন। দুটি অর্ধে দুটি গোল করেন সোনালী।
ম্যাচের শুরু থেকে খেলার দাপট দেখায় দুটি দলই। সাদার্ন সমিতি বেশ কয়েকবার গোল করার কাছে গিয়েও সুবিধে করতে পারছিল না। বারবার আটকে যাচ্ছিল শ্রীভুমির রক্ষণের কাছে। তবু শ্রীভূমিকে প্রশংসা করতে হবে। যেহেতু দলটার আটটা মেয়ে চলে গিয়েছে জাতীয় ক্যাম্পে। কেউ গিয়েছেন সিনিয়র ক্যাম্পে, কেউ গিয়েছেন জুনিয়র ইন্ডিয়ায় খেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে। সেই জায়গায় আটজন প্রথম একাদশের ফুটবলার না থাকা সত্ত্বেও শ্রীভুমির জয় নিঃসন্দেহে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে। তাই বলে সাদার্ন হারলেও কখনও পিছিয়ে ছিল না। বারবার তারা গোল করার জায়গায় চলে আসছিল। যদি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারতো তাহলে খেলার ফল অন্যরকম হলেও হতে পারত। দুটো অর্ধে দুটো গোলই সাদার্নের লড়াই থামিয়ে দেয়। সোনালি চলতি মরশুমে সোমবারের দুটো গোল ধরলে তিন গোল করে ফেললেন।
শ্রীভূমির কোচ সুজাতা কর দল জিতলেও খুশি হতে পারেননি। কেন? প্রশ্নের জবাবে সুজাতা বলছিলেন, “আমি সবসময় দলের খেলায় পাসিং ফুটবলকে পছন্দ করি। দর্শকরা আসেন খেলা দেখে মজা পেতে। সেই আনন্দ যদি না পান তাহলে আর খেলে লাভ কী।”কেন এমন ঘটছে জানতে চাইলে তিনি বলছিলেন, “আসলে মেয়েদের এনডিওরেন্স লেবেলে একটা ঘাটতি দেখছি। ফিজিক্যালি ঠিকমতো ফিট হতে পারেনি। সেইজন্য এমন ঘটছে। যাইহোক এমন হতেই পারে। চেষ্টা করতে হবে দলটা যাতে ভাল খেলে ঘুরে দঁাড়াতে পারে।” আটজন জাতীয় ক্যাম্পে চলে যাওয়া নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন সুজাতা। তঁার মতে, দলের কাছে এই ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে গর্বের। বাকি যারা আছে তাদেরকে নিয়ে যে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব তা প্রমাণ করে দিচ্ছেন সুজাতা।

সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ
গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।