যশপ্রীত বুমরাকে নিয়ে বড় কোনও স্বপ্ন দেখতে নারাজ বিসিসিআই বা ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। ক্রমাগত চোট-আঘাত বুমরাকে ক্রমশ পিছনের সারিতে ঠেলে দিচ্ছে। যা বোর্ডের কাছে অস্বস্তিকর হয়ে দঁাড়িয়েছে। নাহলে টেস্ট ম্যাচে বুমরাকে সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে অনেকে ধরছিলেন। এখন যা পরিস্থিতি তাতে অধিনায়ক হওয়া দূরে থাক, সহ-অধিনায়ক করা নিয়েও সংশয় বাড়ছে। তার মানে যশপ্রীতের হাতে বাড়তি কোনও দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছে না বোর্ড।
২০ জুন থেকে শুরু হবে ভারতের ইংল্যান্ড সফর। সেই সফরে শোনা যাচ্ছিল বুমরাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। হয় অধিনায়ক বা সহ-অধিনায়ক করা হবে ভারতের স্পিড স্টারকে। কিন্তু এই বিষয়টা এখন ভাবিয়ে তুলেছে বোর্ড কর্তাদের। ২০২৪-২৫ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শুরুতে। রোহিত শর্মা দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর তিনি নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেন রোহিতের হাতে। কিন্তু যতদিন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ততদিন বেশ ভালো ভাবে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, তঁার অধিনায়কত্ব প্রশংসা কুড়িয়ে ছিল বিশ্ব ক্রিকেট মহলকে। সেই বুমরাকে নিয়ে আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে কোনও বোর্ড কর্তা ভাবতে নারাজ। ইংল্যান্ডে তিনি যে পঁাচটা টেস্ট খেলবেন না তা একপ্রকার নিশ্চিত। এখনও পুরোপুরি চোট সারিয়ে উঠেছেন তাও বলা যাবে না। যে কোনও মুহূর্তে তিনি চোটের কবলে পড়ে যেতে পারেন। তাই ভারতীয় বোর্ড এমন একজনের হাতে দায়িত্বের ভার তুলে দিতে চাইবে যিনি পুরো সিরিজ খেলতে পারবেন। জানুয়ারিতে সিডনি টেস্টে পিঠে চোট পেয়েছিলেন বুমরা। তারপর তঁাকে পুরোপুরি বিশ্রামে চলে যেতে হয়। চোট পাওয়ার জন্য তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পারেননি। তিন মাস পরে চোট সারিয়ে আইপিএলে খেলার জায়গায় ফিরে এসেছেন। তাও শুরুতে বেশ কিছু ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতে পারেননি।
তবে বুমরা যে এই প্রথম চোট পেয়েছিলেন সিডনিতে তা নয়। ২০২২ সালে অস্ত্রোপচারের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি। দূরে সরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাই বুমরা যে নিয়মিত ভারতীয় দলের হয়ে অতীতে খেলে গিয়েছেন তাও নয়। তাছাড়া এই মুহূর্তে আইপিএল খেললেও চোট-আঘাতে তিনি এখনও জর্জরিত। তঁার সেই পুরোন চোট স্ট্রেস ইনজুরি এখনও আছে। আছেন পেটে টান। এমন কী আঙুলের চোট থেকে যে তিনি মুক্ত তাও বলা যাবে না। তাই অতীতে বহু ম্যাচে তঁাকে এইসব চোটের কারণে পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতেও যে এইসব চোট সারিয়ে পুরোপুরি সিরিজ খেলতে পারবেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই ভারতীয় ক্রিকেট টিম ম্যানেজমেন্টের এক গুরুত্বপূর্ন সদস্য স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “আমরা এমন একজন ক্রিকেটারকে খঁুজব যে পাঁচটা টেস্ট খেলার জায়গায় নিশ্চিত থাকবে। সুতরাং সেই ক্রিকেটারের হাতে সহ-অধিনায়কের ভার তুলে দেওয়া উচিত। বুমরা যে পঁাচটা টেস্ট টানা খেলতে পারবেন না তা একপ্রকার নিশ্চিত। ধরেই নিচ্ছি আমরা বুমরাকে পঁাচ টেস্টে মোটেই পাওয়া যাবে না। তাহলে তার হাতে সহ-অধিনায়কের ভার তুলে দিতে যাব কেন? তাই ইংল্যান্ড সফরে বুমরাকে আমরা কোনও দায়িত্বে নিয়ে আসতে চাইছি না।” তাই অজিত আগরকরের নেতৃত্বে বোর্ড ম্যানেজমেন্ট চাইছে একজন তরুণ ক্রিকেটারকে খঁুজতে। যিনি দলের হয়ে নিয়মিত খেলবেন। আবার ভবিষ্যতের কান্ডারি হয়ে উঠতে পারবেন। রবীন্দ্র জাদেজা ও কেএল রাহুলের বয়স এখন ৩০-এর দোরগড়ায়। সুতরাং এঁদেরকে নিয়ে বোর্ড বিশেষ ভাবতে রাজি নয়। বরং সেই ভাবনায় ঢুকে পড়েছেন শুভমন গিল ও ঋষভ পন্থ। তবে শেষোক্ত দুজনের মধ্যে আবার এগিয়ে আছেন গিল। এখন দেখার কাকে সেই দায়িত্বে বোর্ড নিয়ে আসতে চায়।

ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর
সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই